তিব্বতে চীনের বাঁধ উদ্বোধন, শঙ্কায় ভারত-বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,

  • প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০২৫, ৮:৫৯ অপরাহ্ণ

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং তিব্বতের ন্যিংচি শহরে একটি বিশাল জলবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন, যা বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি ইয়ারলুং সাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে নির্মাণ করা হচ্ছে। এই নদী ভারতের অরুণাচল ও আসাম হয়ে ব্রহ্মপুত্র নামে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার বরাতে জানা যায়, প্রকল্পটি ২০২০ সালে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অধীনে ঘোষণা করা হয়েছিল এবং ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। এটি বছরে ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হচ্ছে, যা থ্রি জর্জেস বাঁধের তিনগুণ।

এই বাঁধ নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ই উদ্বিগ্ন। কারণ, এতে পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে চীন ইচ্ছাকৃতভাবে খরা বা বন্যা ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি শুধু পানি সরবরাহ নয়, রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের কৌশলও হতে পারে।

চীন বলছে, ‘এই প্রকল্প প্রতিবেশীদের ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে নয় বরং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়ক হবে।’ তারা দাবি করে, ‘বহু বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিতে প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছে এবং এটি পরিবেশ, ভূতাত্ত্বিক স্থিতিশীলতা বা প্রতিবেশী দেশের অধিকার ক্ষুণ্ণ করবে না।’

ভারত ইতোমধ্যে অরুণাচলে নিজস্ব জলবিদ্যুৎ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে উদ্যোগী হয়েছে। তবে চীন অরুণাচলকে নিজেদের দক্ষিণ তিব্বতের অংশ বলে দাবি করে এবং সেখানে ভারতের প্রকল্পের বিরোধিতা করছে।

সিনহুয়া জানায়, প্রকল্পের মালিকানা ও তত্ত্বাবধান করবে নতুন গঠিত রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ‘চায়না ইয়াজিয়াং গ্রুপ’। উপ-প্রধানমন্ত্রী ঝাং গোছিং বলেন, ‘প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও পরিবেশ সুরক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্পটি নির্বিঘ্নে বাস্তবায়নের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

সূত্র: ইত্তেফাক

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

Developed by: Web Design & IT Company in Bangladesh