সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম

ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল ইউকের আয়োজনে গত রবিবার (২০ জুলাই) লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী ব্রিকলেন মসজিদ হল রুমে এক ঈদ পুনর্মিলনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ সভায় সংগঠনের অতীত কার্যক্রম তুলে ধরা হয় এবং ভবিষ্যতে আরও সক্রিয়ভাবে কমিউনিটির কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি মনির হোসেনের সভাপতিত্বে ও গয়াছুর রহমান গয়াছের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর ফয়জুর রহমান, কাউন্সিলর সামছুল ইসলাম, কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, সাংবাদিক সৈয়দ নাহাস পাশা, মুহিব চৌধুরী, মস্তাক আলী বাবুল, শাহ মুস্তাফিজ বেলাল, প্রফেসর মসুদ আহমদ প্রমুখ।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে মনির হোসেন বলেন, “৮০’র দশকে ব্রিটেনে বাংলাদেশিরা নিয়মিতভাবে বর্ণবাদের শিকার হতেন। সেই সময় তরুণ প্রজন্ম রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেও জাতীয় পর্যায়ে তাদের প্রতিনিধি ছিল না। এই বাস্তবতাকে সামনে রেখেই ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল ইউকে গঠিত হয়, যার লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রবাসীদের সমস্যা তুলে ধরা।”
তিনি জানান, সংগঠনের উদ্যোগে ২০১১ সালে হাউজিং, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বৈষম্য ইত্যাদি বিষয়ে একটি জাতীয় সেমিনার আয়োজন করা হয়। ওই সেমিনারের প্রবন্ধসমূহ সংকলন করে প্রায় ২৫০ জন এমপি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতৃবৃন্দের কাছে প্রেরণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী গউন সংখ্যালঘুদের সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন। বর্তমানে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি রয়েছেন, যা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় বক্তারা আরও জানান, বাংলাদেশেও সংগঠনটি ২০০১ সালে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের প্রস্তাব তৎকালীন সরকারের কাছে তুলে ধরে এবং ঢাকা ও সিলেটে এ বিষয়ে সেমিনার আয়োজন করে।
প্রবাসীদের কল্যাণে ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল ইউকে ভবিষ্যতেও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে সভায় বক্তারা দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, কাউন্সিলর ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত এ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয় আপ্যায়নের মাধ্যমে।