সব
রুমি হক,
বিশ্ব কবির প্রয়াণ দিবস, গুণীজন সম্মাননা ও ব্রিটেনের মাটিতে নতুন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সংযোজন গীতবীণার শুভযাত্রা উপলক্ষে “গীতবীণা” সাংস্কৃতিক গোষ্টী লন্ডনে আয়োজন করে এক ব্যতিক্রমী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার। গতকাল ১৯ আগষ্ট ২০২৫ লন্ডন সময় সন্ধ্যা সাত ঘটিকায় কবিগুরুর প্রয়াণ দিবসে বিশেষ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপভোগ করতে বিপুল সংখ্যক সংস্কৃতি প্রেমী উপস্থিত হয়েছিলেন পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে।
গীতবীণার তিন কর্ণধার রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পি সূনীতা চৌধুরী, মিতালী বনোয়ারী ও রুমী হক সম্মিলিত ভাবে রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করে এই সন্ধ্যার শুভসূচনা করেন। এর পর একে একে পরিবেশন করেন রবীন্দ্র সঙ্গীত।

ব্যতিক্রমী এই অনুষ্টানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গীতবীণার উপদেষ্টা স্বদেশ-বিদেশ সম্পাদক সাংবাদিক বাতিরুল হক সরদার। তিনি তার স্বাগত বক্তব্যে সংগঠনটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে বলেন বর্তমান সময়ে মানুষজন সংস্কৃতিক বিমুখ হয়ে যাচ্ছে এছাড়া ব্রিটেনর নবপ্রজন্ম যাতে শেকড়ের সন্ধান করে এবং সংস্কৃতি বিমূখ নাহয় এজন্যই এই উদ্যোগ। অনুষ্টানের ফাঁকে ফাঁকে সংগঠনটির কর্ম তৎপরতা ব্রিটেনে সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন সংগঠনের সঙ্গীত শিক্ষক ডক্টর শ্যামল চৌধুরী।

অনুষ্টানে বাংলাদেশ থেকে আগত দেশের খ্যাতমান তিনজন শিল্পিকে সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননা জানানো হয়। এরা হলেন একুশে পদপ্রাপ্ত নৃত্য শিল্পি শিবলী মোহাম্মদ, একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পি শামীম আরা নীপা ও প্রখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পি মনসুরা বেগম। সম্মানীত গুণীজনদের হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন সংগঠনের উপদেষ্টা সাংবাদিক বাতিরুল হক সরদার।
সম্মানীত গুণীশিল্পিরা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন সত্যিই আমরা অভিভুত। নৃত্যশিল্পি শিবলী মোহাম্মদ অনেকটা আবেগ তারিত হয়ে পড়েন। অনুষ্ঠানে অতিথি শিল্পি হিসেবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন মনসুরা বেগম, ড. শ্যামল চৌধুরী ইশমাম নাওয়ার উপমা ও মোস্তফা কামাল মিলন।
ব্যাতিক্রমী এই অনুষ্টানটির উপস্থাপনায় ছিলেন স্নেহাশন চৌধুরী ও মোস্তফা কাশাল মিলন।