‘এটা কি আমার বাপের টাকায় করছে’, ফলকে নাম দেখে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ৭:০১ অপরাহ্ণ

ঢাকা-বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ উদ্বোধনের নামফলকে নিজের নাম দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এ সময় তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, “এখানে নাম থাকা যাবে না। নাম আসলো কীভাবে? এটা কি আমার বাপের টাকায় করছে? তাহলে কেন আমার নাম থাকবে? এটা ইমিডিয়েটলি চেঞ্জ করো। আমার নাম কেন থাকবে? যারা করেছে, মন্ত্রণালয়ের বা অন্যান্যদের নাম থাকতে পারে।”

রোববার (২৪ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া এলাকায় টোল প্লাজার পাশে তিনি নামফলক উন্মোচন না করেই ফিতা কেটে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপের ১৮ কিলোমিটার অংশ উদ্বোধন করেন।

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির উদ্বোধনী ফলকের সামনে গিয়ে লাল পর্দা সরাতেই নিজের নাম দেখতে পান। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে প্রশ্ন করেন, এখানে তার নাম কেন থাকবে। তিনি বলেন, “এটা ইমেডিয়েট ঠিক করেন। এখানে নাম থাকা যাবে না। এটা কি আমার বাপের টাকায় করছে, তাহলে কেন আমার নাম থাকবে?”

তিনি আরও বলেন, “ফলকে শুধু লেখা থাকবে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন, মন্ত্রণালয়ের নাম। আমার টাকায় তো হয়নি, তাহলে আমার নাম কেন থাকবে?”

ঘটনার পর তিনি গাড়ির দিকে গেলেও না উঠে মোনাজাতে অংশ নেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহসানুল হক, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন প্রমুখ।

এর আগে মঞ্চে বক্তব্যে ফাওজুল কবির বলেন, আশপাশের দেশের তুলনায় বাংলাদেশের রাস্তা নির্মাণের ব্যয় অনেক বেশি, যা ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমানো সম্ভব। এজন্য দুর্নীতি হ্রাস এবং প্রকৌশলীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি সড়কের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে রেলপথ, নদীপথ ও আকাশপথ ব্যবহারের ওপরও জোর দেন তিনি।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২২ সালের মে মাসে। ভোগড়া বাইপাস থেকে মদনপুর পর্যন্ত বিস্তৃত এই প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী পুরো এক্সপ্রেসওয়ে হস্তান্তরের সময়সীমা ২০২৬ সালের জুন।

প্রকল্প–সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৮ কিলোমিটার কাজ শেষ হওয়ায় যান চলাচলের জন্য তা খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে নিরাপত্তা ও গতি নিশ্চিত করতে এক্সপ্রেসওয়েতে সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আংশিকভাবে টোল আদায়ও শুরু হচ্ছে।

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

Developed by: Web Design & IT Company in Bangladesh