সব
রুমি হক,
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সর্ব ইউরোপীয় কমিটি ও যুক্তরাজ্য জাসদের যৌথ উদ্যোগে লন্ডনের ব্রিকলেনের ক্যাফে গ্রীল রেস্তোরাঁর হল রুমে আয়োজিত সভায় ঢাকায় সম্প্রতি মঞ্চ ৭১ আয়োজিত কর্মসূচি থেকে জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আবদুল্লাহ হিল কাইউম, অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন, বীর মুক্তিযোদ্ধা লতিফ সিদ্দিকী, সাংবাদিক মন্জুরুল আলম পান্নাসহ ১৬ জন দেশপ্রেমিক নাগরিককে গ্রেফতারের ঘটনায় গভীর ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য জাসদের কার্যকরী সভাপতি এডভোকেট মুজিবুল হক মনি এবং পরিচালনা করেন শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান শানূর। প্রধান অতিথি ছিলেন ‘হৃদয়ে ৭১’-এর আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতান।
এসময় বক্তব্য রাখেন সর্ব ইউরোপীয় জাসদের সভাপতি মতিউর রহমান মতিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদ উদ্দিন, যুক্তরাজ্য ন্যাপ সভাপতি আব্দুল আজিজ, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও সমাজচিন্তক হরমুজ আলী, যুক্তরাজ্য জাসদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন খান শামীম, টাওয়ার হ্যামলেট কাউন্সিলের সাবেক স্পিকার আহবাব হোসেন, নিউহাম কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি মেয়র সাহিদ আলী, সাংবাদিক মতিহার চৌধুরী, সাংবাদিক আজমল হোসেন ফরাজী, সাংবাদিক বাতিরুল হক সরদার, নারী নেত্রী হেনা বেগম ও লিপী ফেরদৌস, সাংবাদিক মোরসালিন মিজান, সাবেক ছাত্র নেতা সৈয়দ তৌহিদ ফিতরাদ হোসেন, লন্ডন মহানগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক সাবুল শামছুজ্জামান, যুক্তরাজ্য উদিচীর সভাপতি মতিউর রহমান তাজ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের শামসুর রহমান, আব্দুর রহিম শামীম, সামছু চৌধুরী, সাংবাদিক কাদির মুরাদ, আহমেদ ফখর কামাল, সাবেক ছাত্র নেতা আবু জাফর, আ ক ম চুন্নুসহ অনেকে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ক্ষমতায় আসীন হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার লক্ষ্য ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে বিপন্ন করছে। তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতিচিহ্ন ধ্বংস, জাতীয় নেতা ও মুক্তিযুদ্ধপন্থী রাজনীতিক-সাংবাদিকদের সাজানো মামলায় কারাবন্দি করা—এসব সরকারের বিপজ্জনক অবস্থানকে স্পষ্ট করেছে।
বক্তাদের অভিযোগ, পশ্চিমা শক্তির মদদে ড. ইউনুস নেতৃত্বাধীন সরকার জামাতের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। মুক্তিযুদ্ধপন্থী শক্তির সভা-সমাবেশে হামলা, মুক্তিযোদ্ধা ও গুণিজনদের গ্রেফতার এ নীতিরই প্রমাণ।
সভায় গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য জাতিকে আবারও ১৯৭১ সালের মতো জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জনের সংবিধান হাতে দাঁড়িয়ে দেওয়া জাতীয় ঐক্যের আহ্বানকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পুনরুদ্ধারে একটি সার্বজনীন সংগ্রাম পরিষদ গঠন সময়ের দাবি।
সভা থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, জাসদ সর্ব ইউরোপীয় কমিটি ও যুক্তরাজ্য জাসদ দেশের ভেতরে ও প্রবাসে বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সর্বাত্মক আন্দোলন চালাবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক কাজী দেলোয়ার হোসেন, সাবেক ছাত্র নেতা জাকারিয়া রশীদ, ডা. ইমরুল কায়েস তান্ডু, জাহিদ আলী কোশনু, ফজলুল হক, রাহুল চৌধুরী, আব্দুস সামাদ আজাদ, ফরহাদ আলম, খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আফসর আহমেদসহ অনেকে।