সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
দুই দিনের মাথায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গণপিটুনিতে আরও দুই ছিনতাইকারী নিহত হয়েছে। ছিনতাইকালে স্থানীয়রা তাদের গণপিটুনি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোরে মোহাম্মদপুরের নবীনগর সাঁকোর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- হানিফ ও সবুজ। এছাড়া শরীফ ও জুয়েল নামে আরও দুজন চিকিৎসাধীন আছে।
পুলিশ বলছে, গণপিটুনিতে নিহত দুজন সক্রিয় ছিনতাইকারী। তাদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা আছে। একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছে। তারা পুলিশ হেফজাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এরাও ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে কয়েকজন ছিনতাইকারী নবীনগর ও বসিলা ৪০ ফিট এলাকার খালের সাঁকোর কাছে দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছিনতাই করে যায়। এরপর ভোর ৪টায় দ্বিতীয় দফায় আবারও ছিনতাই করতে এলে স্থানীয়রা ঘেরাও করে চার ছিনতাইকারীকে আটকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গণপিটুনিতে আহত ছিনতাইকারী সুজন ওরফে বাবলু ও ফয়সাল ঢাকা উদ্যান এলাকায় কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারী চক্রের অন্যতম প্রধান জনি ওরফে রক্তচোষা জনির ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এরা এ এলাকায় প্রতিনিয়ত ছিনতাই করে। ছিনতাইকারীদের প্রতিনিয়ত এমন অত্যচারে বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
তাদের আরও অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ছিনতাইকারীরা প্রকাশ্যে এমন কর্মকাণ্ড করলেও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। তাদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানোর কয়েকদিনের মধ্যে জামিনে বের হয়ে এসে আবারও এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটায়।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক জানান, এমন ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তাাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করে।
তিনি জানান, জুয়েল ও শরীফ নাম দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত ও নিহতদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা রয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) মোহাম্মদপুর থানার চন্দ্রিমা মডেল টাউন রোডে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে এক ছিনতাইকারী নিহত হন। আহতাবস্থায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আরও একজনকে।