সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেলের অভাবনীয় বিজয়কে ‘চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের জবাব’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মান্না বলেন, তরুণরা অপমানিত হয়ে নতুন কিছু করে দেখিয়েছে। “গেস্টরুম কালচার, বড় ভাইদের প্রভাব, দখলদারিত্ব, ভর্তি-বাণিজ্য—এসব দেখে ছাত্রসমাজ অপমানিত হয়েছে। এবার তারা সাহস দেখিয়েছে।”
ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে ভিপি ও জিএসসহ ১২টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে নয়টিতে জয় পেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। অতীতে যেখানে সংগঠনটি প্রকাশ্যে প্যানেল দিতে বা কোনো পদে জিততে পারেনি, এবার অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে।
ডাকসুর সাবেক ভিপি মান্না বলেন, “এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে ভালো নির্বাচন সম্ভব। যদিও কেউ কেউ ফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তারপরও এটি নতুন এক দৃষ্টান্ত।”
তিনি নেপালের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার উদাহরণ টেনে বলেন, “জেন-জি প্রজন্ম সারা বিশ্বেই ইতিহাস রচনা করছে। বাংলাদেশেও অপমানিত ছাত্রসমাজ সেই ধারাবাহিকতায় সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে।”
তবে জাতীয় রাজনীতিতে এর প্রভাব নিয়ে তিনি সতর্ক করেন। “ডাকসুতে জয় মানেই জাতীয় রাজনীতিতে সাফল্য নয়। আমি নিজেও ভিপি ছিলাম, কিন্তু আমার সংগঠন জাতীয় রাজনীতিতে সফল হয়নি। তবে এবার যারা জিতেছে তাদের সংগঠন আছে, সেটাকে তারা কাজে লাগাতে পারে।”
একই আলোচনায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলকে দেশের সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে বিচার করা যাবে না। “এখানে ৪০ হাজার ভোটার, ভোট দিয়েছেন ৩০-৩২ হাজার। এটা সমুদ্রের মধ্যে বিন্দুর মতো হলেও এরও রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে।”
তিনি নেপালের অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক সংবিধান থাকা সত্ত্বেও সেখানে আবার রাজতন্ত্র ফেরার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। “বামপন্থিরা সমাজে বৈষম্য কমানো ও দুর্নীতি দমন করতে পারেনি। ফলে জনগণের হতাশা অভ্যুত্থান ও রাজতন্ত্রের প্রত্যাবর্তনের জমিন তৈরি করেছে।”
‘বর্তমান রাজনীতি ও করণীয়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম।