মহানবী (সা.) প্রথম ঘোষণা করেন – ‘পৃথিবীর সব মানুষ সমান’

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:১০ অপরাহ্ণ

ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আলোচনা

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও ইসলামি ঐক্য সপ্তাহ উপলক্ষে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় যাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘ইসলামের নবী (সা.): মুসলিম উম্মাহ গঠনের অক্ষ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা কাজী আবু হুরায়রা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীর মোহাম্মদী।

বক্তারা বলেন, এ বছরের ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ১৫০০তম জন্মবার্ষিকীর বছর। ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বৈঠকে ইরানের প্রস্তাবে ২০২৫ সালকে বিশ্বব্যাপী “হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ১৫০০তম জন্মবার্ষিকী” হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ উপলক্ষে মুসলিম বিশ্বব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’, অর্থাৎ সমগ্র বিশ্বের মানুষের জন্য রহমতস্বরূপ। তাঁর আগমনের আগে পৃথিবী অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তিনি সর্বপ্রথম মানবাধিকারের ঘোষণা দেন এবং বলেন— “পৃথিবীর সব মানুষ সমান। সাদার উপর কালোর কিংবা কালোর উপর সাদার কোনো বিশেষ মর্যাদা নেই।”

বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, মহানবী (সা.)-এর নির্দেশিত পথ অনুসরণেই মুসলমানদের ঐক্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব। তিনি মুসলমানদের উদ্দেশ্যে বলেছেন— “ঐক্যের রশ্মিকে শক্ত করে ধরো এবং বিভক্ত হয়ো না।” বর্তমান মুসলিম বিশ্বের সংকটের মূলে বিভাজন বিদ্যমান। তাই নবী করিম (সা.)-কে কেন্দ্র করেই মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

Developed by: Web Design & IT Company in Bangladesh