না ফেরার দেশে সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন : সকালে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা, দাফন কুষ্টিয়ায়

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:০৫ পূর্বাহ্ণ

চলে গেলেন লোকসংগীতের বরেণ্যশিল্পী ফরিদা পারভীন। আজ শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। খবরটি নিশ্চিত করেছেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী । তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩। তিনি স্বামী এবং ৪ সন্তান রেখে গেছেন।

প্রখ্যাত লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁর মরদেহ নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় মরদেহ নেওয়া হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য।

এর আগে সকাল ৯টায় তেজকুনি পাড়া মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাঁর মরদেহ কুষ্টিয়ায় নেওয়া হবে। সেখানে পৌর কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে ফরিদা পারভীনকে দাফন করা হবে।

শিল্পীর স্বামী, প্রখ্যাত বংশীবাদক ওস্তাদ গাজী আব্দুল হাকিম জানান, মরদেহ প্রথমে ‘অচিন পাখি’ নামে গানের স্কুলে নেওয়া হবে। পরে ধাপে ধাপে জানাজা ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কুষ্টিয়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন ফরিদা পারভীন।

দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন ফরিদা পারভীন। কিছুদিন ধরে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে, সপ্তাহে দুই দিন তাঁকে ডায়ালাইসিস করাতে হয়। নিয়মিত ডায়ালাইসিসের অংশ হিসেবে ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু ডায়ালাইসিসের পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তখন চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। এর পর থেকে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত বুধবার অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।অবশেষে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি চলে যান না–ফেরার দেশে।

১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন গানে গানে কাটিয়েছেন ৫৫ বছর। ১৪ বছর বয়সে ১৯৬৮ সালে ফরিদা পারভীনের পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। এরপর পার হতে হয় অনেক চড়াই-উতরাই। পারিবারিক সূত্রেই গানের ভুবনে আসা। গানের প্রতি বাবার টান ছিল বেশি। দাদিও গান করতেন। বাবার চাকরির সুবাদে বিভিন্ন জেলায় যেতে হয়েছে তাঁকে।

শৈশবে যখন মাগুরায় ছিলেন, তখন ওস্তাদ কমল চক্রবর্তীর কাছে সংগীতের হাতেখড়ি হয়। এরপর নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও তালিম থেকে দূরে থাকেননি। নানা ধরনের গান করলেও শিল্পীজীবনে পরিচিতি, জনপ্রিয়তা, অগণিত মানুষের ভালোবাসা মূলত লালন সাঁইয়ের গান গেয়ে। যখন থেকে লালনের গান গাওয়া শুরু হয়েছিল, তারপর আর থেমে থাকেননি।

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

Developed by: Web Design & IT Company in Bangladesh