সব
সৈয়দ হিলাল সাইফ,

সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সংগীতের প্রাণময় মিলনমেলায় সফলভাবে সম্পন্ন হলো ত্রয়োদশ বাংলাদেশ বইমেলা।
সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ–এর আয়োজনে শেষ দিনের অনুষ্ঠানমালায় ছিল উপচে পড়া ভিড়, কবিতা, ছড়া, আড্ডা এবং সংগীতের অপূর্ব সংমিশ্রণ।
সোমবার ছিল বইমেলার দ্বিতীয় দিন ও সমাপনী অনুষ্ঠান। দিনব্যাপী নানা আয়োজন ছিলো দর্শনার্থী, লেখক, পাঠক ও সংস্কৃতি–সচেতন সবার জন্য উন্মুক্ত।
প্রথম পর্ব:
বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় কবিতা পাঠের আসর ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান। কবি ও আবৃত্তিকারদের কণ্ঠে কবিতার ধ্বনি যেন হৃদয়ের তারে বাজিয়ে দিল।
দ্বিতীয় পর্ব:
বিকেল ৪টা থেকে ৫টা — নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন পর্বে লেখক ও প্রকাশকদের সরব উপস্থিতি ছিল। পাঠকরা আগ্রহভরে নতুন বইয়ের সঙ্গে পরিচিত হন।
তৃতীয় পর্ব:
বিকেল ৫টা থেকে ৬টা — ‘বিলতের নাট্যাঙ্গন’ বিষয়ক এক প্রাণবন্ত আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে নাট্যকর্মী ও সংস্কৃতিকর্মীরা তাদের অভিজ্ঞতা ও ভাবনা বিনিময় করেন।
চতুর্থ পর্ব:
বিকেল ৬টা থেকে ৭টা — অতিথি লেখকদের নিয়ে আড্ডা, যেখানে লেখকরা সাহিত্যচর্চা, প্রকাশনা ও সাম্প্রতিক পাঠপ্রবণতা নিয়ে মতবিনিময় করেন।
পঞ্চম পর্ব:
সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টা — দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয় কবিতা পাঠ ও আবৃত্তির আরেকটি আসর, যা দর্শকদের বিমুগ্ধ করে।
ষষ্ঠ ও সমাপনী পর্ব:
সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা — শুভ্রদেবের একক সঙ্গীত সন্ধ্যা যেন পুরো আয়োজনের চূড়ান্ত মোহময় পরিণতি। তাঁর কণ্ঠে একের পর এক জনপ্রিয় গান উপভোগ করে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতারা আনন্দে উদ্বেল হন।
মেলার বিভিন্ন পর্বে অংশগ্রহণ করেন লেখক, পাঠক, প্রকাশক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, নাট্যকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার কমিউনিটি ব্যক্তিত্বরা।
বইমেলা যেন এক সময়ের জন্য পুরো প্রবাসী সাহিত্যপ্রেমীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। সার্বজনীন অংশগ্রহণ ও সফল আয়োজনের মাধ্যমে এবারের বইমেলা প্রমাণ করেছে— বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি মানুষের ভালোবাসা এখনও অটুট।
সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ আগামী বছর আরও বৃহৎ পরিসরে বইমেলার আয়োজনের প্রত্যাশা প্রকাশ করেছে।