এনসিপি নেতাদের টিভি মালিকানা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন নুর

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০২৫, ১:৫৪ অপরাহ্ণ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুই নেতার নতুন দুটি টেলিভিশন চ্যানেলের লাইসেন্স পাওয়া নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

তিনি বলেছেন, ‘শুনেছি এনসিপির নেতৃবৃন্দের নামে দুটি গণমাধ্যম অনুমোদন করা হয়েছে। যে দুইজনের নামে হয়েছে, তাদের আমি ভালোভাবে চিনি। তারা তো টেলিভিশন না নিজের ফ্যামিলি নিয়ে চলতে হিমশিম খাচ্ছে।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি।

নুরুল হক নুর আরও বলেন, ‘আমি একটি দলের প্রধান কিন্তু ৫ আগস্টের পরে যেখানে ছিলাম, ওখানেই আছি। তারা অনেকে আমার সহকর্মী ছিলেন। ছোট একটা পত্রিকায় চাকরি করেন। অত ভালো বেতনও না। মেইনস্ট্রিম মিডিয়া বলতে আমরা যা বুঝি, সেখানেও কেউ কাজ করেন না। কোত্থেকে কিভাবে কী দেওয়া হয়, সেটা আমি জানি না। এটা আমি খুব অবাক হয়েছি। এটার মধ্যে দিয়ে এ সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যে অস্বচ্ছতা ও পক্ষপাতমূলক মনোভাব রয়েছে, সেগুলো বোধহয় প্রকাশ পেয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুরুর দিকে যেভাবে অ্যাকশন দেখিয়েছিল। বিশেষ করে মানুষকে যেভাবে একটা শৃঙ্খলায় নিয়ে আসার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এই গণ-অভ্যুত্থানে সরকারের কাছে আমরা সেটা দেখিনি। এই সরকারের সময় আমরা দেখেছি পুরনো স্টাইলে ভাগ-বাঁটোয়ারা, নিয়ন্ত্রণ, লোকজন বসানো ও প্রতিষ্ঠান দখল— এগুলো চলছে। ৫ আগস্টের পরে অনেক গণমাধ্যম দখল হয়েছে। এগুলো আমরা এই সরকার দ্বারা প্রত্যাশা করিনি। এই সরকারে যারা আছেন, তাদের এর দায় নিতে হবে।’

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার নতুন দুটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। চ্যানেল দুটির নাম ‘নেক্সট টিভি’ ও ‘লাইভ টিভি’। এর মধ্যে নেক্সট টিভির লাইসেন্স পেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান তুহিন। তিনি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য হিসেবে যোগ দেন। এর আগে তিনি একটি ইংরেজি দৈনিকের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। এনসিপি গঠিত হওয়ার পর তিনি দলটির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হন।

লাইভ টিভির লাইসেন্স পেয়েছেন আরিফুর রহমান নামের আরেকজন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে বছর ছয়েক আগে পড়াশোনা শেষ করেন। ছাত্রজীবনে তিনি একটি ইংরেজি দৈনিকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ছিলেন। তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ছিলেন। তবে এনসিপিতে যোগ দেননি।

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

Developed by: Web Design & IT Company in Bangladesh