সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম

দ্রুত সময়ের মধ্যে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য ‘বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি’ জারির দাবি তুলেছেন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগ না পাওয়ারা।
রোববার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর শাহবাগে সমাবেশ করে এ দাবি জানান ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ না পাওয়া এই প্রার্থীরা।
আন্দোলনকারীদের নেতা খোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ১৮ লাখ ৬৫ হাজার আবেদনকারীর মধ্যে আমরা ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হই। গত জুন মাসে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি জারি হলে আমরাও আবেদন করি।
গণবিজ্ঞপ্তির ফলাফল অনুযায়ী লক্ষাধিক পদের বিপরীতে মাত্র ৪১ লাখ ৬২৭ জন প্রার্থী সুপারিশপ্রাপ্ত হয়। এতো বিপুল সংখক শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও আমরা ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৬ হাজার ২১৩ জন প্রার্থীর শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ পাইনি। তাই এ গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য থাকা পদের সঙ্গে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত শূন্য পদ যুক্ত করে আমরা অক্টোবরের মধ্যেই বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি চাই। বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে আমরা যারা উত্তীর্ণ প্রার্থী, তারা শিক্ষকতার সুযোগ পাব।
গত ১৬ জুন জারি করা ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গৃহীত আবেদনের ভিত্তিতে ১৯ অগাস্ট ৪১ হাজার ৬২৭ জন প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করে ফল প্রকাশ করা হয়। সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক পদে যোগ দেওয়ার সুযোগ ছিল।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, খালি চোখে মনে হয় বিপুল পদ খালি, এদিকে প্রার্থীরাও সুপারিশ পাননি; কিন্তু বিষয়টি এমন না। কারণ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রার্থীরা কোনো একটি নির্দিষ্ট পদের বিপরীতে উত্তীর্ণ হন। দেখা যায় একটি বিষয়ে প্রার্থী বেশি কিন্তু পদ কম, এ ক্ষেত্রে সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থী থেকে যান। আবার আরেকটি বিষয়ে শূন্য পদ বেশি কিন্ত প্রার্থী কম, সে ক্ষেত্রেও পদ খালি থেকে যায়।
এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষক হতে চাইলে বর্তমানে অবশ্যই শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণের সনদ থাকতে হয়। শূন্য পদের বিপরীতে এনটিআরসিএ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করলে নিবন্ধন সনদধারীরা আবেদনের সুযোগ পান। নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রার্থীর পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতে শূন্য পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। সুপারিশপত্র নিয়ে প্রার্থীরা নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করে থাকেন।