সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
আয়োজনটি ছিলো বরাবরের মতই অভিজাত, ঝাঁকালো ও উৎসবমূখর। ছিলো যুক্তরাজ্যের রেস্টুরেন্ট খাতের সফল উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি ব্রিটিশ মূলধারার রাজনীতিক, মন্ত্রী, এমপি, লর্ড সভার সদস্যসহ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আনন্দঘন উপস্থিতিতে মূখরিত। উদ্দেশ্য একটাই- যুক্তরাজ্যের বিশাল রেস্তোরাঁ খাতে বাংলাদেশিদের সাফল্যকে তুলে ধরা, উদযাপন করা এবং অনুপ্রেরণা দেয়া। এবার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ৩৯টি এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। তবে সব ছাপিয়ে আয়োজনের মূল আকর্ষণ হয়ে উঠে যুক্তরাজ্যে কারি শিল্পের কিংবদন্তী ব্যক্তিত্ব আমিন আলীকে জানানো বিশেষ সম্মাননা।
গতকাল ১৩ অক্টোবর রোববার অনুষ্ঠিত হয় কারি লাইফ ম্যাগাজিনের বার্ষিক আয়োজন- ‘কারি লাইফ এওয়ার্ড এন্ড গালা ডিনার’। এটি ছিলো এই আয়োজনের ১৬তম আসর। সেখানে সাড়া জাগানো রেস্টুরেন্ট রেড ফোর্টের উদ্যোক্তা আমিন আলীকে ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দিয়ে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয়। ব্রিটিশ কারি ইন্ডাস্ট্রি তথা উপমহাদেশীয় রেস্তোরাঁ খাতের বৈচিত্র ও আধুনিকায়ন এবং এটিকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করার পেছনে অগ্রগামী ভূমিকার স্বীকৃতি এই বিশেষ সম্মাননা।
সিলেটের নবীগঞ্জের জালালপুর গ্রামের সন্তান আমিন আলী যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান ১৯৭২ সালে। ১৯৮৩ সালে তিনি লন্ডনের অভিজাত সোহো এলাকায় চালু করেন রেড ফোর্ট রেস্টুরেন্ট। অসাধারণ খাবার ও সেবার কারণে দ্রুত এটি ব্রিটিশ রাজনীতিক, খ্যাতনামা তারকা এবং বিশিষ্টজনদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠে। বিশেষ করে রেড ফোর্ট রেস্টুরেন্টে লেবার দলের রাজনীতিকদের আনাগোনা এত বেশি ছিলো যে এটি ‘লেবার্স ডেন’ (লেবারের ঘাঁটি) হিসেবে পরিচিতি পায়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার, গর্ডন ব্রাউন ও থেরেসা মে সহ বহু মন্ত্রী-এমপি রেড ফোর্টে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। করতেন পারিবারিক ও রাজনৈতিক নানা আয়োজন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার তাঁর মেয়ের ১৯তম জন্মদিন উদযাপন করেন এই রেস্তোরাঁয়।
রেড ফোর্টের খ্যাতনামা অতিথিদের তালিকা বিশাল। তাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নাম স্মরণ করা যাক- অ্যাপল এর প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শ্যারন অসবর্ণ ও রোস কেম্প, সাড়া জাগানো রক ব্যান্ড ‘বোন জোভি’ ও ‘লিঙ্কিন পার্ক’, পপ তারকা টিনা টার্নার ও হলিউড তারকা ব্রুস উইলিস প্রমূখ। অনন্য খাবার ও সেবার পাশাপাশি অতিথিদের গোপনীয়তার সুরক্ষায় আমিন আলীর নৈতিক দৃঢ়তার কারণেই রেড ফোর্ট হয়ে উঠেছিলো এত এত সেলিব্রেটি ও প্রভাবশালীদের পছন্দের স্থান।
কিংবদন্তী রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পেলেও আমিন আলী মূলত ছিলেন আপাদমস্তক সমাজসেবক এবং অন্তপ্রাণ বাংলাদেশি। রাজনীতি সচেতন আমিন আলী বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনসহ যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশিদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ছিলেন সক্রিয়, অগ্রগামী এবং নিবেদিত।
ব্রিটিশ মূলধারায় আমিন আলীর যোগাযোগ, সম্মান ও প্রভাব বুঝার জন্য একটি ঘটনা উল্লেখ করা যেতে পারে। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যে প্রথম ‘বাংলাদেশ উৎসব’ পালিত হয়। ওই উৎসবে স্পন্সর ছিলো লন্ডনের বিখ্যাত সংবাদপত্র ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড। শুধু তাই নয়; পত্রিকাটি সেন্টার পেইজের দুই পাতা জুড়ে ওই উৎসবের সংবাদ ও ছবি ছাপে।
আমিন আলী এভাবেই ব্রিটিশ সরকারের কেন্দ্রে নিজের যোগাযোগকেও সবসময় বাংলাদেশিদের কল্যাণে কাজে লাগিয়েছেন। সে কারণেই অনুষ্ঠানে দেয়া ভিডিও বার্তায় সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী কীথ ভাজ আমিন আলীকে অত্যন্ত কাছের বন্ধু উল্লেখ করে বলেন, ‘কারি কিংবদন্তী আমিন আলী ছিলেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের বাস্তবিক হাইকমিশনার, প্রকৃত প্রতিনিধি’।
নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় আমিন আলী বহুদিন যাবত অনেকটা লোকচক্ষুর অন্তরালে। তাঁর রেড ফোর্টও বন্ধ হয়ে গেছে বছর পাঁচেক আগে। কিন্তু আমিন আলীর অবদান এবং তাঁর গৌরবময় নাম এখনো যুক্তরাজ্যের কারি শিল্পে এক অনন্য প্রতীক হয়ে আছে।
লন্ডন ম্যারিয়ট হোটেলের ওয়েস্টমিন্সটার বলরুমে অনুষ্ঠিত হয় এবারের ‘কারি লাইফ এওয়ার্ড’। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেন আইটিএন-এর প্রভাবশালী নিউজ প্রেজেন্টার নিনা হোসাইন।
‘কারি লাইফ’ ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ নাহাস পাশা সূচনা বক্তব্যে বলেন, “নানা চ্যালেঞ্জ স্বত্বেও যুক্তরাজ্যের কারি শিল্পে সফলতার গল্পও অনেক। কারি শিল্প সংশ্লিষ্টদের মূখপাত্র হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে কারি লাইফ ম্যাগাজিন। যার ধারাবাহিকতায় কারি শিল্পের সাফল্য উদযাপনে কারি লাইফ এওয়ার্ডের এই ১৬তম আয়োজন। তিনি বলেন, উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি, সরকারী করারোপ এবং কর্মী সংকটসহ রেস্তোরাঁ সেক্টরের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কারি লাইফ ম্যাগাজিন ইন্ডাস্ট্রির কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবে।”
কারি লাইফ ম্যাগাজিনের সম্পাদক সৈয়দ বেলাল আহমেদ বলেন, “এই এওয়ার্ড আয়োজনের অন্যতম একটি লক্ষ্য হলো সফলতার গল্পগুলোকে তুলে ধরা, পুরষ্কৃত করা। কারি কিংবদন্তি আমিন আলীর গল্প অনেককে অনুপ্রাণিত করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রেস্তোরাঁ পরিচালনা কেবল ব্যবসা নয়; এর মাধ্যমে ক্ষমতার কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার সম্ভব। আমিন আলী সেটি দেখিয়ে দিয়েছেন।”
এবারের আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রিটিশ সরকারের পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপমন্ত্রী স্টেফানি পিকক এমপি।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কনফেডারেশন অব ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রিজের (সিবিআই) সাবেক প্রেসিডেন্ট, কোবরা বিয়ারের প্রতিষ্ঠাতা এবং হাউস অব লর্ডসের সদস্য লর্ড করন বিলিমোরিয়া, সাবেক কমিউনিটিজ অ্যান্ড লোকাল গভর্মেন্ট বিষয়ক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য রুশনারা আলী, ওয়েন্ডি মোর্টন এমপি, মাইক উড এমপি, বেন ওবেজি জেকটি এমপি, অতিথিরা বিজয়ীদের হাতে এওয়ার্ড তুলে দেন।
লর্ড কারেন বিলিমোরিয়া বলেন, “কারি লাইফ এওয়ার্ড যুক্তরাজ্যের কারি শিল্পের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আয়োজন। এই শিল্প ব্রিটিশ অর্থনীতিতে অসাধারণ অবদান রাখছে এবং অগণিত মানুষকে কর্মসংস্থান দিচ্ছে। কারি লাইফ ম্যাগাজিন দীর্ঘদিন ধরে এই শিল্পের সাফল্যের পেছনে এক অনন্য সহযাত্রী। তাদের সংবাদ, তথ্য ও দিকনির্দেশনা রেস্তোরাঁগুলোকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে চলেছে। আমি সকল বিজয়ীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।”
শুধু অতিথিদের কথায় নয়; পুরষ্কার বিজয়ীদের প্রতিক্রিয়ায়ও বুঝা গেলো কারি লাইফ এওয়ার্ডের মর্যাদার বিশেষত্ব। অরপিংটনের বোম্বে রেস্টুরেন্টের শাজাহান মিয়া বলেন, “আমরা গর্বিত যে কারি লাইফ অ্যাওয়ার্ড আমাদের কাজকে স্বীকৃতি দিয়েছে। অন্য যে কোনো পুরস্কারের চেয়ে এটি আলাদা, কারণ কারি লাইফ পরিবার সব সময় আমাদের পাশে থেকেছে এবং তাদের ম্যাগাজিনের মাধ্যমে কারি শিল্পকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করছে।”
‘বেস্ট শেফ অব দ্য ইয়ার’ বিজয়ী টেইস্ট অব নওয়াবের স্বাত্তাধিকারী আব্দুল রহমান বলেন, “কারি লাইফ অ্যাওয়ার্ড শুধু সম্মান নয়, এটি এক ঐতিহ্য। এই আয়োজন কারি শিল্পের মান ও মর্যাদা ধরে রেখেছে। অন্য পুরস্কারের থেকে এটি আলাদা, কারণ এটি শিল্পের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব করে।”
বেস্ট রেস্টুরেন্ট অব দ্য ইয়ার বিজয়ী জিলানি ম্যাজিস্টিকের কর্ণধার নাসির জিলানী বলেন, “কারি লাইফ অ্যাওয়ার্ড সত্যিই বিশেষ—এটি আমাদের পরিশ্রমের প্রকৃত স্বীকৃতি। কারণ এটি রেস্তোরাঁর বাস্তব অবদান ও গ্রাহকের ভালোবাসাকে মূল্যায়ন করে। এই পুরস্কার পুরো কারি শিল্পের গর্ব।”
যুক্তরাজ্যে রেস্তোরাঁ খাতে বাংলাদেশিদের অবদানকে মূলধারায় তুলে ধরার পাশাপাশি কারি শিল্পে নিবেদিতদের উৎসাহিত করতে ২০০৩ সালে ‘কারি লাইফ ম্যাগাজিন’ চালু করেন দুই সহোদর সৈয়দ নাহাস পাশা এবং সৈয়দ বেলাল আহমদ। কারি লাইফ ম্যাগাজিনের উদ্যোগে ২০০৯ সালে চালু করেন কারি লাইফ এওয়ার্ডস ও গালা ডিনার। গ্রাহকদের ভোট এবং কঠোর মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয়। এটি ব্রিটিশ কারি শিল্পের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার। এই পুরস্কার জয় সংশ্লিষ্ট রেস্টুরেন্টের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা প্রতিষ্ঠা, বিক্রি বৃদ্ধি এবং বাজারে সুনাম বাড়াতে সাহায্য করে।
এবার সবচেয়ে আকর্ষণীয় ‘বেস্ট নিউকামার অব দ্য ইয়ার’ ক্যাটাগরিতে এওয়ার্ড জিতে নিয়েছে লন্ডনের অদূরে কেন্টের সোয়ানলী এলাকায় অবস্থিত রেস্তোরাঁ ‘দ্য বোম্বে’। মাত্র ৬ মাস আগে চালু হওয়া রেস্টুরেন্টটি খাবারের উন্নত মান ও চমৎকার পরিবেশনার পাশাপাশি রেস্তোরাঁর চোখ ধাঁধালো সাজ-সজ্জা কারণে ইতিমধ্যে স্থানীয়দের মাঝে বেশ সাড়া জাগিয়েছে।
‘কারি লাইফ এডিটর্স চয়েস রেস্টেুরেন্টস’ তালিকায় এওয়ার্ড জিতেছে কোলচেস্টারের কেলভেডন স্পাইস, লেস্টারের হোয়াট অ্যা শট, কেন্টের স্ট্রুড এলাকার নাজ‘স রসই, ফ্রোডশামের হেলসবি এলাকার জুনুন রেস্টুরেন্ট ও কার্ডিফের রিওবিনা এলাকার যুবরাজ রিওবিনা।
‘বেস্ট রেস্টুরেন্ট অব দ্য ইয়ার’ ক্যাটাগরিতে এবার কারি লাইফ এওয়ার্ড জিতে নিয়েছে, ব্রাইটনের জুমুন রেস্টুরেন্ট, অরপিংটনের দ্য বোম্বে রেস্টুরেন্ট, উইনচেস্টারের রিমঝিম রেস্টুরেন্ট, লিমিংটনের রিভাজ লিমিংটন, নিটউন অ্যাবোট এলাকার ইস্টার্ন আই, মাইনহেডের অ্যালকোম্বি এলাকার অ্যালকোম্বি তান্দুরি, রাগবির ব্রেটফোর্ড এলাকার দ্য কুইন্স হেড, কিমবোল্টন এলাকার কিমবোল্টন স্পাইস, সাডব্যারি নর্থ স্ট্রীটের জিলানি ম্যাজেস্টিক, ডরসেটের ব্রিডপোর্ট এলাকার দ্য সুন্দরবন, স্কটল্যান্ডের মিডলোথিয়ানের লোনহেড এলাকার দ্য রাঁধুনি, চেশায়ারের কংলেটন এলাকার ইস্ট ৩৬০ রেস্টুরেন্ট, ব্রাডফোর্ড স্টিকার লেইনের ইন্টারন্যাশনাল রেস্টুরেন্ট, নিউয়ার্কের নর্থ মাস্ক্যাম এলাকার আশিয়ানা ইন্ডিয়ান এন্ড বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট, লিডসের হ্যালটন এলাকার সেলবি রোড়ের স্পাইস হাউজ, এসেক্স এলাকার কোলচেস্টারের রিম ঝিম স্পাইস, ডারবিশায়ারের গ্লোচোপ এলাকার রুচি ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট, ওয়ালচারের অ্যালড্রিজ এলাকার অরা ইন্ডিয়ান কুইজিন, স্টাফোর্ডশায়ারের লীক এলাকার চেন্নাই ইন্ডিয়ান কুইজিন এবং বার্মিংহামের ব্রিস্টল রোড সাউথে অবস্থিত সাফ্রন লাউঞ্জ।
এ বছর ‘বেস্ট কারি শেফ অব দ্য ইয়ার’ ক্যাটাগরিতে কারি লাইফ এওয়ার্ড জিতেছে- উলভারহেম্পটনের ঊমবোর্ন এলাকার ঊমবোর্ন তান্দুরি, ওয়ারউইকশায়ারের লেমিংটন স্পা এলাকার বোম্বে রেস্টুরেন্ট, স্কটল্যান্ডের মিডলোথিয়ানের ডালকিইথ এলাকার ইতিহাস রেস্টুরেন্ট, রোচেস্টারের নাজ‘স রসই, রিকম্যান্সওয়ার্থ ক্রক্সলি গ্রীন বোম্বে কিচেন, বার্কশায়ারের নিউব্যারি এলাকার কারি কেইভ, স্ট্রোক-অন-ট্রেন্টের লংটন এলাকার আলি‘স কিচেন, টেলফোর্ড এলাকার ভিলেজ স্পাইস টেইকওয়ে এবং লন্ডনের মাশওয়েল হিল এলাকার টেইস্ট অব নওয়াব।
‘বেস্ট টেইকওয়ে অব দ্য ইয়ার’ ক্যাটাগরিতে এওয়ার্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে এবার জায়গা করে নিয়েছে- নিউপোর্টের কার্লিয়ন এলাকার দ্য হাংরি এলিফ্যান্ট, রাগবির বিল্টন রোডের ইন্ডিয়ান কুইন টেইকওয়ে এবং স্ট্রোক-অন-ট্রেন্টের ব্লাইথ ব্রিজ এলাকার আলী’স স্পাইস।