সব
স্পোর্টস ডেস্ক:,
ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের ইতিহাসে কোনো সিরিজে সম্ভবত এতটা বাজে সময় কাটায়নি বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের কাছে শুধু হোয়াইটওয়াশ-ই হলো না, পরপর দুই ম্যাচে বাজে ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত তৈরি করলো। আগের ম্যাচে মাত্র ১৯০ রান তাড়া করতে না পারা বাংলাদেশের সামনে এদিন লক্ষ্যটা ছিল ২৯৪ রানের।
আগের দিন কোনোরকম শতরান করলেও এদিন সেটাও করতে পারেনি মিরাজের দল। বাংলাদেশের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ২২ ওয়ানডে খেলে রানের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয়টা আজকের ম্যাচে পেয়েছে আফগানিস্তান। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে ২০০ রানের ব্যবধানে জয়টা তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) আবুধাবিতে আফগানদের দেওয়া ২৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৯৩ রানেই অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ দল। এদিনও শুরু থেকে বাজে ব্যাটিংয়ের কবলে পড়ে টাইগাররা। ওপেনার নাঈম শেখ ২৪ বলে ৭ রান করেই বিদায় নেন। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে হাল ধরেন সাইফ হাসান। তবে দলীয় ৪৭ রানে ৩ রানে ফিরে যান শান্ত।
সাইফ একাই দলকে টানছিলেন তবে তিনিও ব্যক্তিগত ৪৩ রানে ফিরে যান, দলের রান তখন ৭০। এরপর তাওহীদ হ্রদয় (৭), মেহেদী মিরাজ (৬) এবং শামীম পাটোয়ারী (০) রান করে বিদায় নেন। পরবর্তীতে নুরুল হাসান সোহানও ব্যর্থ হন, করেন মোটে ২ রান। পরে ৮১ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ দল।
পরবর্তীতে রান করতে ব্যর্থ হন রিশাদ হোসেনও, বিলাল সামির বলে আউট হওয়ার আগে করেন ৪ রান। হাসান মাহমুদের ৯ রানে আউটের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। সবমিলিয়ে ২৭ ওভার ১ বল খেলতে সক্ষম হয়েছে টাইগাররা।
আফগানিস্তানের হয়ে ৩৩ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নিয়েছেন বিলাল সামি। মাত্র ১২ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন রশিদ। আগের ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১১ উইকেট নিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এলিট ক্লাবে।
এর আগে, দিনের শুরুতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯৩ রান তোলে আফগানিস্তান দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৫ রান করেন ইব্রাহিম জাদরান। এছাড়া রহমানউল্লাহ গুরবাজ করেন ৪২ রান। শেষ দিকে মোহাম্মদ নবির ঝোড়ো ৩৭ বলে ৬২ রানে বড় পুঁজি দাঁড় করায় আফগানরা।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট সংগ্রহ করেছিলেন সাইফ হাসান।