সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেছেন, চাকসু ভোটের জন্য হন্য হয়ে খুঁজেও অমোচনীয় কালি মেলেনি। বাজারে যে কালি পাওয়া গেছে তাই ভোটে ব্যবহার হচ্ছে। তবে এতে জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। ছবিসহ ভোটার তালিকা থাকায় অমোচনীয় কালির গুরুত্ব কমেছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে ছাত্রদল, দ্রোহ পর্ষদসহ কয়েকটি প্যানেলের প্রার্থীরা ভোটারদের হাতে ব্যবহৃত কালি মোচনীয় বলে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, একটা সীমাবদ্ধতা আমাদের তৈরি হয়েছে। এটা নিয়ে বিভিন্ন কথা-আলোচনা অন্য জায়গায় হওয়ার আগে আমি মনে করেছি, আপনাদের কাছে আমার ব্রিফ করা উচিত। জাতীয় নির্বাচন কমিশন থেকে আরম্ভ করে চকবাজারের দোকান পর্যন্ত আমরা প্রত্যেকটা জায়গায় খুঁজে বেড়াইছি, যে একটা অমোচনীয় কালি পাওয়া যায় কি না। যে অমোচনীয় কালি উনারা (ইসি) ব্যবহার করেন, সেটা প্রতি বছর নির্বাচনের আগে উনারা জার্মানি থেকে ইমপোর্ট করেন। এবং নির্বাচন শেষে বাকি অমোচনীয় কালি উনারা ডেসট্রয় করতে হয়। এটা হলো নির্বাচনের প্রটোকল। সুতরাং এই কালি অন্য কোথাও পাওয়ার সুযোগ আমাদের নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগরে একই সমস্যা হয়েছে। আমরাও অনেকটা দায়সারা গোছের একটা কালি আমরা দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষিত সমাজের জন্য এটা খুব বেশি শোভনীয়ও নয় বলে মনে করি। আমরা একজনের ভোট আরেকজনে দেওয়ার সুযোগ নেই। এটা আমাদের জাতীয় অক্ষমতা আমরা আমাদের দেশে এর থেকে ভালো কালি আর পাই নাই। আমরা যা পেয়েছি, তাই ব্যবহার করছি। যেখানে কালি থাকবে না, সেখানেও আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। যেখানে কালি থাকবে না, সেখানেও ভোট চলবে। কারণ ভোটের আইডেনটিটি হলো ভোটার আইডি কার্ড এবং তার ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা। ভাল নির্বাচনের জন্য প্রিকশনারি মেজার সব আমরা নিয়েছি। যে ব্যর্থতা সেটা আমাদের ব্যর্থতা নয়, সামগ্রিক রিয়েলিটি।
অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, আমরা আগে নিশ্চিত করেছি যে আমাদের ভোটারদের পরিচিতি হলো তাদের আইডি নম্বর এবং ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা। পোলিং এজেন্টদের কর্তব্য- যারাই ভোটকেন্দ্রে ঢুকবে, তাদের ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা দেখে নিশ্চিত করবে, হি ইজ দ্য জেনুইন ভোটার। তাই অমোচনীয় কালিটা এটা এখন আর আমাদের জন্য ম্যান্ডেটরি রইল না।