সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
আগামী বছরের হজ সুষ্ঠুভাবে পালনে ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। এ নির্দেশনাগুলোর কথা জানিয়ে বুধবার (১৫ অক্টোবর) এজেন্সিগুলোর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে এ নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সৌদি সরকারের ৬ নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে—
১. হজ চুক্তির খসড়া প্রণয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীর সংখ্যা, জেদ্দা ও মদিনা বিমানবন্দরের মাধ্যমে গমনাগমনকারী হজযাত্রীর সংখ্যা ইত্যাদি তথ্য জরুরিভিত্তিতে প্রেরণ।
২. হজযাত্রী শিফটিং অর্থাৎ এক ভবনে হজযাত্রী প্রবেশের পর অন্য ভবনে স্থানান্তর, মাসার সিস্টেমে এক ভবনের তথ্য দিয়ে হজযাত্রীদের অন্য ভবনে আবাসনের ব্যবস্থাকরণ, অননুমোদিত বা মাসার সিস্টেমের বাইরে চুক্তিবদ্ধ ভবনে হজযাত্রীর আবাসন ইত্যাদি করা যাবে না। সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এমন কোনো প্রমাণ পেলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিসহ এজেন্সি প্রধানকে কালো তালিকাভুক্ত করবে এবং সৌদি আরবে প্রবেশে স্থায়ীভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
৩. গত বছর অর্থাৎ ২০২৫ হজ মৌসুমে মন্ত্রণালয়ের কালো তালিকাভুক্ত কোনো এজেন্সি হজ পরিচালনায় অংশ নিতে পারবে না।
৪. ফলপ্রসূ যোগাযোগ স্থাপনের জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হচ্ছে।
ওই গ্রুপে যোগ্য এজেন্সির নাম, বিবরণসহ তালিকা তাৎক্ষণিকভাবে দিতে হবে। গ্রুপে অনতিবিলম্বে বাংলাদেশের ২০২৬ হজ মৌসুমে মোট হজযাত্রী সংখ্যা, সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমে হজযাত্রী সংখ্যা, তাঁবু বুকিং সংক্রান্ত তথ্য, মনোনীত লিড এজেন্সির তালিকা, লিড এজেন্সির হজযাত্রীর সংখ্যা, লিড এজেন্সির ওয়ালেটে অর্থ আনয়ন সংক্রান্ত তথ্য, লিড এজেন্সির আইবিএএন নম্বর এবং বাংলাদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য বিনা ব্যর্থতায় আপলোড করতে হবে।
৫. সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক চিহ্নিত ৯ ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হজ পালনে সৌদি আরবে যেতে পারবেন না। প্রত্যেক হজযাত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে হজ অ্যাফেয়ার্স সার্টিফিকেট দেবে।
সার্টিফিকেট প্রাপ্তিসাপেক্ষে হজযাত্রীদের ভিসা দেয়া হবে। সার্টিফিকেট প্রদান প্রক্রিয়ায় কোনো ত্রুটি ধরা পড়লে মেডিকেল টিমের প্রধানকে সৌদি আরবে নিষিদ্ধ করা হবে এবং ভবিষ্যতে মেডিকেল সেন্টার স্থাপন ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদান কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করা হবে। হজ অ্যাফেয়ার্স অফিসের প্রধানকে নিষিদ্ধ করা হবে এবং পরবর্তী বছরের হজযাত্রী কোটায় তার প্রভাব পড়বে।
৬. ২০২৬ হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের নুসুক কার্ড সৌদি আরবের বিমানবন্দর থেকে হোটেলে পরিবহণকারী বাসে সরবরাহ করা হবে। এ লক্ষ্যে প্রতিটি হজ কার্যক্রম পরিচালনাকারী সংস্থাকে সঠিক ও সম্পূর্ণভাবে হজযাত্রীর মক্কা ও মদিনায় হোটেলের নাম, ঠিকানা, কক্ষ নম্বর ও বেড নম্বর আগেই সরবরাহ করতে হবে।
এসব তথ্য নুসুক কার্ডে সন্নিবেশ করা হবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ২৬ মে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর বাংলাদেশের হজের কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। হজে যেতে প্রাথমিক নিবন্ধন শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর)।