সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম

রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে শনিবার দুপুর সোয়া দুইটায় কুরিয়ার সার্ভিসের গুদামে আগুন লাগার পর পুরো কার্গো কমপ্লেক্স জ্বলেছে এবং ২১ ঘণ্টা পরও সেখানে ধোঁয়া উঠে যাচ্ছে। আগুন লাগার ঘটনায় বহু ব্যবসায়ীর মালামাল এবং স্বপ্ন পুড়ে গেছে। ফলে হাজারো প্রবাসীর যাত্রা মুহূর্তে থেমে গিয়েছিল।
শনিবার দুপুর সোয়া দুইটায় কার্গো ভিলেজের আমদানি কমপ্লেক্সের কুরিয়ার গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং ধীরে ধীরে আগুন পুরো কমপ্লেক্সে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস, বিমানবাহিনীর নিরাপত্তা বাহিনী, আনসার, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ৩৭ ইউনিট একযোগে সাত ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সাত ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর রাত থেকেই বিমানবন্দর কার্যক্রম ফের সচল হলেও কার্গো ভিলেজে এখনো ধোঁয়া উঠে চলেছে।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল উল্লেখ করেছেন, ‘কার্গো কমপ্লেক্সে খোপ খোপ ও কনক্রিটের দেয়ার কারণে প্রতিটি অংশকে আলাদাভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে। তবে বাতাস বেশি থাকায় খোলা জায়গার এক্সপোজ আইটেমগুলো দ্রুত পুড়ে গেছে।’ তদন্ত ও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরূপণের জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, “সংকট অতিক্রম করতে আমাদের দেশবাসীর প্রার্থনা দরকার।” প্রধান উপদেষ্টা দপ্তর জানিয়েছে, অগ্নিসংযোগ বা নাশকতার কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে সরকার তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে এবং জনজীবন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করার সুযোগ দেওয়া হবে না।
ঘটনায় প্রাণহানির তথ্য হতে পাওয়া যায়নি। কার্যকারণ, ক্ষয়ক্ষতির ধরণ ও আর্থিক পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে এবং তদন্ত কমিটি রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানানো হবে।