সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম

সময়ের বাস্তবতায় এবারের ভোটে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, এআইয়ের অপব্যবহার মোকাবিলায় কারিগরি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সমন্বিত ও কার্যকর সুপারিশ চাইছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) এক সেমিনারে উদ্বোধনী বক্তব্যে নাসির উদ্দিন বলেন, “এআইয়ের অপব্যবহার এখন বৈশ্বিক মাথাব্যথার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এর অপব্যবহার রোধে সমন্বিত কার্যক্রম হাতে নিতে চাই। আমরা মিসইনফরমেশন এবং ডিসইনফরমেশন অ্যাড্রেস করার জন্য একটি সেন্ট্রাল সেল গঠনের পরিকল্পনা করেছি।”
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন এনটিএমসি, এমআইএসটি, বিটিআরসি, সিআইডি, আইসিটি বিভাগ, আইএফইএস, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বেসিস, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসি সচিবালয়ের কারিগরি কর্মকর্তারা।
নাসির উদ্দিন বলেন, “আমরা আশা করি কর্মশালা থেকে একটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ আসবে। দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়লে, এআই ব্যবহার করে অপতথ্য ছড়াতে তা দ্রুত কীভাবে রোধ করা যাবে এবং সঠিক তথ্য কীভাবে পৌঁছানো সম্ভব হবে, তা বিবেচনা করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এটা ২৪ ঘণ্টার কাজ। ফ্যাক্ট চেকিং মেকানিজম দ্রুত কাজ করবে, তাই সমন্বিত ব্যবস্থা ও কার্যকর ব্যবস্থা প্রয়োজন। শুধু একটি গাইডলাইন চাই না, সুনির্দিষ্ট সুপারিশ চাই।”
ইসি সচিব আখতার আহমেদ স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। একটি জরিপে দেখা গেছে, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের অপব্যবহারের কারণে বিশ্বের ৯২ শতাংশ নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবার সহযোগিতা দরকার।”