সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ ওরফে লতিফ সেক্রেটারি দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার রোষানলে পড়ে দেশ ছেড়ে পালাতে হয় শেখ হাসিনাসহ দলের অনেক নেতাকর্মীকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এসে আব্দুল লতিফ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এখন থেকে জামায়াতের রাজনীতি করবেন।
এর পেছনের কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি পূর্বে আওয়ামী লীগ করতাম, এখন জামায়াতে যোগদান করেছি। বয়স কম হয়নি। এখন আমার বয়স সত্তর। তাই শেষ জীবনে একটা ইসলামী দলের সঙ্গে থেকে মরতে চাই।’
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল লতিফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের দলে পরিণত হয়েছে। তাই আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছি। এখানে চাঁদাবাজি নেই, সন্ত্রাস নেই। এখন থেকে আমি আল্লাহর রাস্তায় চলতে চাই। প্রতিদিন কত রাকাত নামাজ পড়লাম, কতটা কোরআন-হাদিস পড়লাম— এর হিসাব রাখতে হয়।’
স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা গেছে, গুয়ারেখা ইউনিয়নটি মূলত হিন্দু অধ্যুষিত এবং দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তবে সাম্প্রতিক সময়ে খবর পাওয়া গেছে, এ ইউনিয়নের কয়েকজন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিচ্ছেন অথবা জামায়াতের আদর্শে ঝুঁকে পড়ছেন।
গুয়ারেখা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মো. মহিব্বুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নে জামায়াতের অবস্থান দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। অনেকে আমাদের দলে যোগ দিতে আগ্রহী, তবে যাচাই-বাছাইয়ের পরই সদস্যপদ দেওয়া হয়। এলাকা হিন্দু অধ্যুষিত হলেও অনেক সম্ভ্রান্ত হিন্দু নাগরিকও আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছেন।’
তিনি আরও জানান, আব্দুল লতিফ সেক্রেটারি দলের প্রাথমিক সদস্য ফরম পূরণ করেছেন। এ ছাড়া নিরঞ্জন হালদার নামে এক স্কুলশিক্ষকও সম্প্রতি জামায়াতে এসেছেন। শীঘ্রই তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্য করা হবে।’
এদিকে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির হঠাৎ জামায়াতে যোগদান নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।