ঐকমত্য কমিশনকে ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান ৫৩ নাগরিকের

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১ নভেম্বর ২০২৫, ৬:৫৭ অপরাহ্ণ

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দীর্ঘ কয়েক মাসের আলোচনার মাধ্যমে প্রণীত এই সনদকে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেক নাগরিক। তবে সনদ প্রকাশের পর এর বাস্তবায়ন নিয়ে নতুন করে অনৈক্যের সুর দেখা দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ৫৩ জন নাগরিক।

শনিবার (১ নভেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, জাতীয় ঐক্যকে প্রাধান্য দিয়ে সব রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের ঐকমত্যে পৌঁছানো পর্যন্ত ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম চালু রাখা জরুরি। সংবিধান সংশোধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করে প্রয়োজনীয় সময় নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানান তারা।

এতে বলা হয়, অন্যান্য দেশে যেমন সংবিধান সংস্কারের আগে বহু বছর আলোচনা চলে, বাংলাদেশেও বর্তমান সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য সময় বাড়ানো যেতে পারে। ঐকমত্য কমিশনের নির্ধারিত ২৭০ দিনের (নয় মাসের) সময়সীমা বাড়িয়ে দুই বছর পর্যন্ত করা হলে তা অধিকতর ফলপ্রসূ হতে পারে।

নাগরিকরা আরও বলেন, ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (আপত্তি) বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঐক্যের পরিপন্থি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আপত্তি মীমাংসা না করে তাড়াহুড়ো করে সংবিধান সংশোধন আনলে অনৈক্য দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং দেশের রাজনীতিতে নতুন সংকট সৃষ্টি হতে পারে।

বিবৃতিতে কমিশনের আলোচনায় লেখক, চিন্তক, অ্যাক্টিভিস্ট ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের যুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার বিভেদ কমে আসবে বলে তারা মনে করেন।

তারা আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সব দল ও মতের ঐক্যের ওপর। এ ঐক্য বজায় রাখার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

Developed by: Web Design & IT Company in Bangladesh