ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন, ফিলিপাইনে নিরাপদে সরানো হলো ১ লাখের বেশি মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,

  • প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় ‘ফাং-ওয়ং’ সুপার টাইফুনে পরিণত হওয়ায় ফিলিপিন্সের পূর্ব ও উত্তরাঞ্চল থেকে ১ লাখের বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সময় রোববার (৯ নভেম্বর) দিনের শেষের দিকে এটি স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রবল বৃষ্টিপাত, ঝড়ো হাওয়া এবং জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিপিন্সের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে লুজন দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সর্বোচ্চ সতর্কতা সংকেত ৫ জারি করা হয়েছে। রাজধানী ম্যানিলা ও আশপাশের অঞ্চলগুলোতে ৩ নম্বর সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।

সুপার টাইফুন ফাং-ওয়ং বর্তমানে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার (স্থিতিশীল বাতাস) এবং ২৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝোড়ো বাতাস নিয়ে এগোচ্ছে।

স্থানীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রোববার রাতেই এটি মধ্য লুজনের অরোরা প্রদেশে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।

ফিলিপিন্স সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ৩০০ এর বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

টাইফুন কালমায়েগির আঘাত হানার কয়েকদিনের মধ্যেই ফিলিপিন্সে আঘাত হানতে চলেছে শক্তিশালী টাইফুন ফাং-ওয়ং। কালমায়েগির আঘাতে এরইমধ্যে দেশটির দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর প্রভাবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ফিলিপিন্সের একাধিক শহর। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার বাড়ি, ১৫৭টি হাসপাতাল ও স্কুল। নষ্ট হয়ে গেছে ১৬২টি পৌরসভার বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং ৮৬টি এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা। কৃষিতে ক্ষতি ৪০ মিলিয়ন পেসো ছাড়িয়ে গেছে।

সরকার এরমধ্যেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবারের ক্লাস বাতিল বা অনলাইনে স্থানান্তর করেছে স্কুলগুলো।

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

Developed by: Web Design & IT Company in Bangladesh