যুক্তরাষ্ট্রের বন্দিশালা থেকে ৩১ দিন পর মুক্তি পেলেন বাংলাদেশি মাসুমা খান

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ডিটেনশন সেন্টার থেকে ৩১ দিন বন্দিশালায় থাকার পর ৬৪ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাগরিক মাসুমা খান মুক্তি পেয়েছেন। বুধবার তিনি সেন্টার থেকে মুক্ত হন।

মাসুমা খানের স্বজনরা জানিয়েছেন, তার স্বামী ইশতিয়াক খান অভিবাসনের মর্যাদা সমন্বয়ের (স্ট্যাটাস অ্যাডজাস্টমেন্ট) জন্য আবেদন করেছিলেন। ২০২৫ সালের ৬ অক্টোবর মাসুমা লস এঞ্জেলেসের ইমিগ্রেশন অফিসে হাজিরা দিতে যান। সেখানে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) সদস্যরা তাকে আটক করেন। এরপর তিনি প্রায় ১০০ মাইল দূরে ক্যালিফোর্নিয়া সিটি ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়।

মাসুমা খানের মুক্তির দাবিতে এলাকার কংগ্রেসওম্যান জুডি চু ও সেনেটর অ্যাডাম শেফ সোচ্চার হন।

এছাড়া তার মেয়ে, অ্যাটর্নি রিয়া খান ইমিগ্রেশন কোর্টে আবেদন করেন। লস এঞ্জেলেসভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্কও’ জটিল রোগে আক্রান্ত মাসুমা খানের মুক্তির দাবিতে সক্রিয় ছিল। সবমিলিয়ে ফ্রেসনো কাউন্টি সুপিরিয়র কোর্ট মাসুমা খানকে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দেন।

মুক্তির পর রিয়া খান জানিয়েছেন, ‘লস এঞ্জেলেসে বসবাসরত মা ১৯৯৭ সালে একটি দুষ্টচক্রের খপ্পরে পড়েছিলেন। তারা মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে গ্রিনকার্ডসহ সবকিছু করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। চক্রটি মাসুমা খানের নাম পাল্টিয়ে ‘নূরজাহান’ নামে আশ্রয়ের আবেদন করেছিল। মাসুমা খান পরে জানতে পারেন, তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ জারি হয়েছিল।’

মাসুমা খানের স্বামী ২০২০ সালে তার জন্য ‘স্ট্যাটাস অ্যাডজাস্টমেন্টের’ আবেদন করলেও দুবারই তা নাকচ হয়। এরপরও মাসুমা খানকে ওই চক্র ‘স্ট্যাটাস এডজাস্টমেন্টের’ আশ্বাস দিত। ৬ অক্টোবর হাজিরা দিতে গিয়ে তাকে আটক করা হয়। বর্তমানে মাসুমা খানের মুক্তির পর তিনি পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন।

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

Developed by: Web Design & IT Company in Bangladesh