সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম

তরুণ ভোটার ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং নির্বাচনের সময় সম্ভাব্য সহিংসতা প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশন (ইসি) রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোন ভিত্তিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রাক-প্রস্তুতি সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, “থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট করে ডেপ্লয়মেন্ট প্ল্যান করতে হবে। জোনভিত্তিক বিভাজনের মাধ্যমে নির্বাচনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা সম্ভব।”
সভায় চারজন কমিশনার, ইসি সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান এবং জেলা ও বিভাগীয় প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নির্বাচনকালীন সম্ভাব্য হুমকি ও অপতৎপরতার প্রতিরোধে বাহিনীর যৌথ ও সমন্বিত প্রস্তুতির ওপর জোর দেওয়া হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র জব্দ, চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার, চেকপয়েন্ট স্থাপন, সীমান্ত ও সমুদ্র পথ সিল করা এবং ভোটকেন্দ্র নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে। পাশাপাশি প্রবাসী ভোট ও পোস্টাল ব্যালটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রাক-প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
সিইসি আরও বলেন, “নির্বাচনের আগে, ভোটের দিন ও পরবর্তী চারদিন—মোট আট দিন বাহিনী মাঠে থাকাকালীন কার্যক্রম নির্ধারণে জোন ভিত্তিক পরিকল্পনা কার্যকর হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র চিহ্নিত করে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে বিভাজন করা হয়েছে।”
সভায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধের জন্য প্রাক-প্রস্তুতির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। নির্বাচনকালে ভোটার ও কর্মকর্তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়, নজরদারি ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই সকল প্রস্তুতি তদারকি করছে।