‘সাম্য মৈত্রী, ঐক্যের প্রতীক হয়ে জ্বলবো,- আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’

নিলুফা ইয়াসমীন হাসান,

  • প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ৮:০৮ অপরাহ্ণ

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের অষ্টম বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত

” সিরাজুল বাসিত চৌধুরী সভাপতি, মোহাম্মদ কামরুল হাসান সাধারণ সম্পাদক এবং সৈয়দ জাফর কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত”
প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আগামী যে শতাধিক শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি

আনন্দঘন পরিবেশে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের অষ্টম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৯ই নভেম্বর রোববার বিপুল সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতিতে আনন্দঘন পরিবেশে পূর্ব লন্ডনের রিজেনেন্টস লেক ব্যাংকুয়েটিং হলে দিনব্যাপী বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিদায়ী কমিটির সভাপতি প্রশান্ত লাল দত্ত পুরাকায়স্থ বিইএম এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মেসবাহ উদ্দীন ইকোর পরিচালনায় বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইতিহাস:
১০৪ বছর আগে ১৯২১ সালের পহেলা জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ সকল আন্দোলন সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছেন। যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন প্রতিষ্ঠার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকে গঠিত হয়েছে। ২০১৬ সালের ১৫ই ডিসেম্বর সংগঠনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৭ সালের ৫ই জানুয়ারি একটি সাধারণ সভার মাধ্যমে পুরোদমে কার্য্ক্রম শুরু হয়েছে। সেই সময়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে আমাদের একটিই পরিচয়, আমরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী’, শুধু প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন ও পুনর্মিলনী করাই এই সংগঠনের একমাত্র লক্ষ্য নয়। প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন বৃত্তি দেয়ার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়। দু’বছর পর পর নতুন কার্যকরী কমিটি গঠিত হয় এবং তারই ধারাবাহিকতায় ৯ই নভেম্বর অষ্টম সাধারণ সভার মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।

নির্বাহী মেয়র:
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাওয়ার হেমলেটস কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়র লুৎফর রহমান। সংগঠনের সভাপতি প্রশান্ত লাল দত্ত পুরকায়স্থ প্রধান অতিথিকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র লুৎফর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন যে, কি বায়ান্ন, কি সত্তুর -বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলোনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি বর্তমান এবং অতীতের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
অনুষ্ঠানে সমবেত ঢাকা বিশবিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদের উদ্দেশ্য নির্বাহী মেয়র আরো বলেন, আপনারা টাওয়ার হ্যামলেটস এবং লন্ডনসহ সমগ্র দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি বলেন, আমাদের ঐতিহ্যের কথা স্মরণ রেখেই ব্রিটিশ সমাজের সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে। কিন্তু আমাদের ঐতিহ্য বিসর্জন দিয়ে বিলীন হয়ে যাওয়ার ইচ্ছা যেন আমরা পোষণ না করি। আমাদের সন্তানদেরও ঐতিহ্য ধরে রাখেতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
টাওয়ার হ্যামলেটস এর নির্বাহী মেয়র শিক্ষার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে বলেন, শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমাদের সন্তানরা যাতে দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় সেই চেষ্টা চালাতে হবে। আমাদের সন্তানরা যদি একাডেমিক বা ভোকেশনাল শিক্ষায় সফল হতে পারে তাহলেই আমরা শক্তিশালী বাংলাদেশি কমিউনিটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবো।

নতুন কমিটি নির্বাচন :
তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ২০২৫-২৭ সালের জন্য ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন শাহগীর বখত ফারুক এবং অপর দুই নির্বাচন কমিশনার হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতান এবং ব্যারিষ্টার নাজির উদ্দিন চৌধুরী। নির্বাচন কমিশনারবৃন্দ উল্লেখ করেন যেহেতু কোন পদেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেননা, তাই নির্বাচন অনুষ্ঠানের অর্থাৎ ভোট প্রদানের প্রয়োজন হয়নি। তাঁরা আগামী দুই বছরের জন্য ৩২ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটির নাম ঘোষণা করেন।

আগামী দুই বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সিরাজুল বাসিত চৌধুরী। কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মেসবাহ উদ্দীন ইকো, এবং সহ-সভাপতি পদে যথাক্রমে নিলুফা ইয়াসমীন হাসান, রীপা সুলতানা রাকীব ও মির্জা আসাব বেগ নির্বাচিত হয়েছেন।

সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ কামরুল হাসান (এম কিউ হাসান)। যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ব্যারিস্টার মাহারুন আহম্মেদ মালা, ব্যারিষ্টার ও সলিসিটর মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও ব্যারিস্টার মিজানুর রহমান।

কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন সৈয়দ জাফর। যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন ফাইজুল হক রিপন ও কনকন কান্তি ঘোষ।

দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ফখর উদ্দিন আহমেদ।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সৈয়দ হামিদুল হক এবং যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দা ফারহানা সুবর্ণা ও খালিদ ইয়াহইয়া নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া, এ্যারিনা সিদ্দিকী সুপ্রভা সাংস্কৃতিক সম্পাদক, সৈয়দ এনামুল ইসলাম প্রেস অ্যান্ড পাবলিসিটি সম্পাদক এবং মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন আহমেদ শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

কার্যকরি কমিটির নির্বাচিত সদস্যরা হলেন ইসমাইল হোসেন, মোস্তফা কামাল মিলন, মারুফ আহমেদ চৌধুরী, প্রশান্ত দত্ত পুরাকায়স্থ বিইএম, আব্দুল মুকিত চৌধুরী, ফখরুল মোহাম্মদ ইসলাম, মোহাম্মদ রফিক আহমেদ, মোহাম্মাদ কামরুল হাসান, সবিতা শামশেদ, মোহাম্মদ চন্দন মিয়া, খাদিজা আহমেদ বন্যা, মাহমুদা চৌধুরী ও কল্পনা কাজী।

বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দিনব্যাপী প্রাণবন্ত চলা অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

শোক প্রকাশ:
বর্তমান সেক্রেটারি এম কিউ হাসান অ্যালামনাইর সিনিয়র সদস্য রাজিয়া বেগমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের সদস্য থাকাকালীন সময়ে তাঁর অবদানের কথা উল্লেখ করেন। তাছাড়াও সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের মৃত্যুতেও শোক প্রকাশ করেছেন এবং উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। খালিদ ইয়াহইয়া কোরান তেলোয়াত করেন এবং গীতা থেকে পাঠ করেন বিধান মন্ডল।

রিপোর্ট উপস্থাপন:
সভায় গত দুই বছরের রিপোর্ট উপস্থাপন করেন বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মেসবাহ উদ্দীন ইকো ও আর্থিক রিপোর্ট পেশ করেন কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ জাফর। সপ্তম এজিএম এর মিনিটস উপস্থাপন করেন দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার মিজানুর রহমান।
বিদায়ী সভাপতি প্রশান্ত দত্ত পুরকায়স্থ তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনেক। তিনি বলেন, আমি সভাপতি থাকাকালীন সময়ে সংগঠনের সাফল্যের শতভাগ সংগঠনের সদস্যদের। সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তাঁকে সহযোগিতা করার জন্য তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্য:
সিনিয়র অ্যালামনাইদের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন মারুফ আহমদ চৌধুরী, নিলুফা ইয়াসমীন হাসান, মির্জা আসাব বেগ, সৈয়দ আবু বকর ইকবাল, মতিন চৌধুরী, ফখরুল ইসলাম মেজবাহ প্রমুখ।

বৃত্তি ও ট্রাস্ট ফান্ড:
বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মেসবাহ উদ্দিন ইকো, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ আবুল কালাম, সাবেক সভাপতি মারুফ আহমদ চৌধুরী সংগঠনের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুঃস্থ মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা এবং ট্রাস্ট ফান্ড গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। ২০১৭ সালে বৃত্তি প্রদান কার্য্ক্রম শুরু হয়েছিল। গত বছর ২৫ জনকে এবং এই বছর জানুয়ারিতে ৫০জন শিক্ষার্থীকে এককালীন বৃত্তি দেয়া হয়েছে। এজিএম এ সংগঠনের সদস্যরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আরো দেড়শো শিক্ষার্থীকে আগামী বছর বৃত্তি প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের উপদেষ্টাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ হাবিব রহমান, শাহগির বখত ফারুক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান ও ব্যারিস্টার নাজির উদ্দিন চৌধুরী।

সাংস্কৃতিক পর্ব:
মধ্যাহ্নভোজের পর সাংস্কৃতিক সম্পাদক রীপা সুলতানা রাকীব, মিজানুর রহমান, এরিনা সিদ্দিকী সুপ্রভা ও সৈয়দা সুবর্ণার সঞ্চালনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে অ্যালামনাইর সিনিয়র সদস্য মাহফুজা রহমানের লেখা কবিতা ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ ১৬ জন সদস্য একযোগে পরিবেশন করেন। তাঁর কবিতার প্রতিটি লাইন এক একটি উদ্দীপনার স্লোগান – ‘দৃপ্ত পায়ে এগিয়ে যাবো, সাম্য মৈত্রী, ঐক্যের প্রতীক হয়ে জ্বলবো…’।
রীপা সুলতানা রাকীব ও কাজী কল্পনার যৌথ পরিবেশনা ‘আজ এই দিনটাকে মনের খাতায় লিখে রাখো’ গানের মাধ্যমে শুরু হয় গানের পর্ব। পরবর্তীতে তাঁরা দুজন একক গানও পরিবেশন করেছেন। তারপর মঞ্চ মাতিয়ে রাখেন বিশিষ্ট শিল্পী সহোদর সায়ীদ জোবায়ের ও সায়ীদ তারেক। তাঁরা একের পর এক গান পরিবেশন করে শ্রোতাদের মুগ্দ্ধ করে রাখেন। তাদের গান পরিবেশনের সময়ে অধিকাংশ সদস্য নাচতে থাকেন। আরো গান পরিবেশন করেন কে জি বি কনক, নীলা নিকি খান ও সৈয়দা তামান্না। কে জি বি কনকের ‘’তুমি যে আমার কবিতা, আমার বাঁশির রাগিনী’, ‘ওগো তোমার আকাশ দুটি চোখে, আমি হয়ে গেছি তারা’ গান সবাইকে অতীত স্মৃতি রোমন্থনে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
বিভিন্ন গানের সাথে চমৎকার নৃত্য পরিবেশন করেন শিশু শিল্পী প্রাপ্তি দেব সরকার। আবৃত্তি করেন ড. হাসনিন চৌধুরী। গানের সাথে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়েছেন তানিম, হাসান ও মিজান তিন সহদোর।

ম্যাগাজিন:
এছাড়াও বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন উপলক্ষে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করা হয়। ম্যাগাজিন কমিটিতে ছিলেন প্রশান্ত দত্ত পুরকায়স্থ, মেসবাহ উদ্দিন ইকো, নিলুফা ইয়াসমিন হাসান, এম কিউ হাসান, সৈয়দ জাফর ও মোস্তফা কামাল।
নব নির্বাচিত সভাপতি সিরাজুল বাসিত চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এম কিউ হাসান তাঁদেরকে নির্বাচিত করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আগামী দু’বছর সবার সহযোগিতা নিয়ে সংগঠন সুন্দরভাবে পরিচালনার আশা ব্যক্ত করে যারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উপস্থিত সকলে একটা সুন্দর দিন উপভোগ করে বাড়ি ফিরেছেন।

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

Developed by: Web Design & IT Company in Bangladesh