সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায়ের দিন কোনো বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হলে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার দায়িত্ব কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসারও তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) চট্টগ্রামের হোটেল পেনিনসুলায় চট্টগ্রাম মেডিকেল ট্রাভেল ফোরামের আয়োজনে ‘মেডিকেল ভ্যালু ট্রাভেল সামিট’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
আগামী সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার বিচারের রায় ঘোষণা ঘিরে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে করণীয় কী প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, বিশৃঙ্খলা তো ঠেকাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই দায়িত্ব তো কোনো রাজনৈতিক দলের না। আমাদের এই কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে আস্তে আস্তে। দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে তাদের দায়িত্ব হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা। আর রায় কোর্ট দেবে। রায় নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। বিচার করার দায়িত্ব বিচার বিভাগের। এটা ওদের উপর ছেড়ে দেন। আমরা একটা নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ চেয়েছিলাম। আশাকরি একটা নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ বাংলাদেশে স্থাপন করা হয়েছে। আগামী দিনে এটাকে আরো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া হবে। এই মুহূর্তে আমরা একটা রাজনৈতিক ট্রানজিশনের দিকে যাচ্ছি। নির্বাচনের দিকে, গণতন্ত্রায়নের দিকে যাচ্ছি সেদিকে হচ্ছে আমাদের মূল ফোকাস।
একমাত্র নির্বাচিত সরকার ও সংসদের মাধ্যমেই যাবতীয় পুঞ্জীভূত সমস্যার সমাধান করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। অন্য কোনো পন্থায় যা করার কোনো সুযোগ নেই বলেও মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আজকে জনগণের সবচেয়ে বড় চাহিদা একটা গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনা। সেটা সম্ভব একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। আজকে সবাই ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। একটি সংসদ গঠন ও একটি সরকার গঠন হবে ভোটের মাধ্যমে, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহি থাকবে। এই বিষয়টা বাংলাদেশে গত ১৫-১৬ বছর ধরে অনুপস্থিত।
তাই বাংলাদেশের মানুষের এ মুহূর্তে প্রধান চাহিদা একটা উৎসবমুখর নির্বাচন মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, যেটা বাংলাদেশের মানুষ সবসময় নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করেন উৎসবের সাথে। বাংলাদেশের মানুষ সেই অপেক্ষায় আছে। অন্য কোনো ছোটখাটো বিষয় নিয়ে আমাদের সময় নষ্ট করে লাভ নেই। আমরা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাই। দেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দিই। তাদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সংসদ ও সরকার গঠন করতে পারি, যারা জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে। এটাই জনগণের চাহিদা।
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনলে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে যত সমস্যার কথা এখন বলা হচ্ছে, সব সমাধান হবে। সাংবিধানিক বলেন, অর্থনৈতিক বলেন সব সমাধান আছে শুধুমাত্র নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে। এর বাইরে কোনো সরকার জনগণের মনের কথাও বুঝবে না, জনগণের চাহিদাও বুঝবে না। সুতরাং একটা নির্বাচিত সরকার আসলে, যেসমস্ত সমস্যা পুঞ্জীভূত হয়েছে ইতিমধ্যে এগুলোর সমাধান একমাত্র নির্বাচিত সরকার, সংসদের মাধ্যমে করতে হবে। এর বাইরে করার কোন সুযোগ নাই।
এর আগে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শেষে মেডিকেল ভ্যালু ট্রাভেল সামিটের বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন তিনি।
দিনব্যাপী এই সামিটে অংশ নিচ্ছে চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান, মেডিকেল ভ্যালু ট্রাভেল ফ্যাসিলিটেটর, কর্পোরেট প্রতিনিধি ও ট্রাভেল এজেন্সির কর্মকর্তারা।