সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ডাকযোগে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ নামের একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন অ্যাপটি উদ্বোধন করেন। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম প্রবাসীরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, অ্যাপে নিবন্ধনের পর প্রবাসী ভোটারদের কাছে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। সেখানে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে পারবেন তারা। ব্যালটে ‘না’ ভোটেরও সুযোগ থাকবে; তবে শুধু সেই আসনে যেখানে একজন প্রার্থী আছেন, সেখানকার ভোটাররাই ‘না’ ভোট দিতে পারবেন।
ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ধাপে ধাপে বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন। বিভিন্ন অঞ্চলের জন্য পাঁচ দিন করে নিবন্ধনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বুধবার থেকে পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার প্রবাসীদের নিবন্ধনের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) মোট ১৪৮টি নির্দিষ্ট দেশে পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনের সময়সূচি ঘোষণা করেছে। অঞ্চলভিত্তিক ধাপে ধাপে সম্পন্ন হবে এই নিবন্ধন কার্যক্রম।
পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার ৫২ দেশে ১৯ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন চলবে।
উত্তর আমেরিকার ১৪ দেশ ও ওশেনিয়ার দুটি দেশে নিবন্ধন চলবে ২৪ থেকে ২৮ নভেম্বর।
ইউরোপের ৪২ দেশে ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে।
সৌদি আরবে নিবন্ধন শুরু হবে ৪ ডিসেম্বর, চলবে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ব্যালট পাঠানোর খামের সঙ্গে একটি ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে, যেখানে ভোটারকে স্বাক্ষর করতে হবে। ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
প্রবাসীদের পাশাপাশি নির্বাচনি দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মকর্তা এবং দেশের ৭১টি কারাগারের বন্দি ও কয়েদিরাও এবার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন। তাদের জন্যও আলাদা নিবন্ধন পদ্ধতি থাকবে।
ইসি সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫০ লাখ প্রবাসী ভোটারকে এবারের নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের আওতায় আনার লক্ষ্য রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
ইসির অতিরিক্ত সচিব ও প্রবাসী ভোটার প্রকল্পের পরিচালক কে এম আলী নেওয়াজ জানান, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হলে অ্যাপে প্রতিটি আসনের প্রার্থী ও প্রতীক দেখা যাবে। এরপর ভোটাররা ১১৯টি প্রতীকের মধ্যে পছন্দেরটিতে টিক বা ক্রস দিতে পারবেন।
প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বলেন, ভোট দেওয়ার পর ব্যালট রিটার্ন খামে ভরে নিকটস্থ পোস্ট অফিসে জমা দিলেই হবে। ডাকমাশুল আগে থেকেই পরিশোধ করা থাকবে, ফলে ব্যালট নিরাপদে বাংলাদেশে পৌঁছে যাবে।