সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম

চট্টগ্রাম বন্দরের প্রবেশ পথে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) অবরোধ থেকে ৫ ডিসেম্বর সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার চট্টগ্রামের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশিদের কাছে হস্তান্তরের পাঁয়তারা এবং লালদিয়া চর ও পানগাঁও টার্মিনালের ইজারা বাতিলের দাবিতে বন্দরের প্রবেশ পথ অবরোধ করে স্কপের নেতাকর্মীরা।
পরে সংগঠনটির নেতা ও ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি তপন দত্ত গণমাধ্যমকে বলেন, “শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি আগামী ৫ ডিসেম্বর সারা দেশের সবগুলো জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। চট্টগ্রামে এই কর্মসূচি পালন করা হবে ৫ ডিসেম্বর বিকালে পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে মশাল মিছিল বের করা হবে।”
এর আগে বুধবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশের তিনটি পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে স্কপের নেতাকর্মীরা। তাদের এ কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়ে অংশ নেয় বাম গণতান্ত্রিক জোট এবং সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাকর্মীরাও।
তবে বেলা ১টা পর্যন্ত কর্মসূচি চলার কথা থাকলেও তার এক ঘণ্টা আগে, বেলা ১২টার দিকে অবরোধ কর্মসূচি শেষ করেন আন্দোলনকারীরা। স্কপের এক নেতা গণমাধ্যমকে বলেন, “পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের অবরোধ কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করার অনুরোধ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ১২টা পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করি।”
চট্টগ্রাম বন্দর ও আশেপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশের ওপর পুলিশি নিষেধাজ্ঞা থাকায় স্কপের কর্মীরা বন্দরে প্রবেশের তিনটি পয়েন্ট—বড়পোল মোড়, সিম্যান্স হোস্টেল গেইট এবং বন্দর টোল প্লাজা মোড়ে অবস্থান নেন। সকাল ১০টার পর থেকেই তারা সেখানে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন।
টোল প্লাজা এলাকায় অবরোধে নেতৃত্ব দেন স্কপ নেতা তপন দত্ত, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার, ডক শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক তসলিম হোসেন সেলিম এবং বন্দর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খোকন।
বড়পোল মোড়ে অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেন কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহ আলম, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অশোক সাহা, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এস কে খোদা তোতন, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের খোরশেদুল আলম, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের ফজলুল কবির মিন্টু, বাসদ নেতা শফিউদ্দিন কবীর আবিদ ও আল কাদেরি জয়।
তাদের অবরোধের কারণে বন্দরমুখী কভার্ডভ্যান, ট্রাক এবং ট্রেইলার চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।