সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি হত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের চালক আলমগীরের ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে’ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তেজগাঁও বিভাগের (মোহাম্মদপুর) অতিরিক্ত কমিশনার জুয়েল রানা বলেন, বুধবার সকালে হিমন রহমান শিকদার (৩২) নামের ওই যুবককে ঢাকার আদাবরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের পরেই হিমনকে নিয়ে আদাবর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে তার তথ্যের ভিত্তিতে ৩ রাউন্ড গুলি ও একটি বিদেশি পিস্তল পাওয়া যায়।
পুলিশ জানায়, হিমন আদাবর এলাকায় যুবলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কিনা, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে হচ্ছে বলে এক প্রশ্নের জবাবে জানান পুলিশ কর্মকর্তা জুয়েল রানা।
“আমরা প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, হাদকে হত্যার জন্য যে মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটার চালক ছিলেন আলমগীর। এই আলমগীরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিমন।”
হিমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আলমগীরের বিষয়ে তথ্য পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
জুলাই অভ্যুত্থান এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া হাদি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গিয়ে তিনি আক্রান্ত হন।
চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা আততায়ী। গুলিটি লাগে হাদির মাথায়।
গুরুতর আহত হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে অস্ত্রোপচার করার পর রাতেই তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ১৮ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদির মৃত্যু হয়।
হামলার ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন, যা হাদির মৃত্যুর পর হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়।
এ মামলার মূল সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ফয়সাল করিম মাসুদের নাম রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১০-১২ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও ফয়সালকে আটক করা যায়নি।
সূত্র: বিডিনিউজ।