ট্রাম্প প্রশাসন থেকে সরে দাঁড়ালেন ইলন মাস্ক, বাজেট বিল নিয়ে প্রকাশ্য ক্ষোভ

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২৫, ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বখ্যাত উদ্যোক্তা, টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্ক ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন থেকে পদত্যাগ করেছেন।

এক্সে দেয়া এক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দেন। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে “ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি” (ডিওজিই)-এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন মাস্ক।

তার এই সিদ্ধান্ত এসেছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবিত নতুন বাজেট বিল নিয়ে প্রকাশ্যে অসন্তোষ জানানোর পর। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

আল জাজিরা জানায়, বিশেষ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে মাস্ক সরকারি ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে কাজ করছিলেন। এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, “বিশেষ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আমার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ায় আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাই এই সুযোগ দেওয়ার জন্য।”

তিনি আরও লেখেন, “ডিওজিই-এর মিশন ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে এবং এটি একসময় সরকারের কার্যক্রমে একটি নতুন মানদণ্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।”

হোয়াইট হাউসের এক অজ্ঞাতনামা কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে মাস্কের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডিওজিই-তে যোগ দেন মাস্ক। তার লক্ষ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বাজেট থেকে ১ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ কমানো। তবে সংস্থাটির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত তারা মাত্র ১৭৫ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করতে পেরেছে—যা মাথাপিছু হিসেবে ১০৮৮.৯৬ ডলার।

ট্রাম্প প্রশাসনে মাস্কের নিয়োগ ছিল ১৩০ দিনের জন্য, যা ৩০ মে শেষ হওয়ার কথা। প্রশাসন জানিয়েছে, ডিওজিই-এর কাজ চলমান থাকবে এবং সরকারকে আরও ছোট ও দক্ষ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

মাস্কের পদত্যাগ এমন এক সময় সামনে এলো, যখন তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবিত “বিগ, বিউটিফুল বিল” নামের নতুন বাজেট বিল নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন।

ওই বিলে ২০১৭ সালের কর ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি খাদ্য সহায়তা ও মেডিকেইডের জন্য কর্মশর্ত আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া এতে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ, অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের বাজেট বৃদ্ধির মতো ট্রাম্প প্রশাসনের অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর জন্য অর্থ বরাদ্দ রয়েছে।

মাস্ক বলেন, “এই ব্যয়বহুল বিল দেখে আমি হতাশ। এতে ঘাটতি কমানোর বদলে বরং তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যা ডিওজিই দলের প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে।”

কংগ্রেশনাল বাজেট অফিসের (সিবিও) পূর্বাভাস অনুযায়ী, বিলটি পাস হলে ২০৩৪ সালের মধ্যে এটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি ৩.৯ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে দিতে পারে।

শেষে মাস্ক বলেন, “একটা বিল বড় হতে পারে বা সুন্দর হতে পারে, কিন্তু আমার মনে হয়—দুইটা একসাথে হওয়া কঠিন। এটি আমার ব্যক্তিগত মতামত।”

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

Developed by: Web Design & IT Company in Bangladesh