সব
মতিয়ার চৌধুরী, লন্ডন,
রাষ্ট্রীয় মদদে একজন ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত মানবতা বিরোধী অপরাধীর মুক্তি, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও ত্রিশ লক্ষ শহীদের প্রতি অসম্মান । এটি শুধু অসম্মানই নয় মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে অবমানননা করা। এতে বুঝতে বাকি নেই অন্তবর্তিকালীন সরকার চলছে একাত্তরের পরাজিত শক্তির ঈশারায়।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রংপুর অঞ্চলের তৎকালীন আলবদর কমান্ডার আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যা গণধর্ষন সহ একাধিক মানবতা বিরোধী অপরাধ প্রমাণিত হয় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে ও পরবর্তিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। পাকিস্তানীদের দোষর এই জামাত নেতা ও সাবেক আলদবর কমান্ডার আজহারুল ইসলামের রাষ্ট্রীয় মদদে মুক্তির প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে আয়োজকরা কবিতা পথনাটক ও গণসঙ্গীতের মাধমে তাদের বক্তব্য ফুটিয়ে তুলেন।
গতকাল ৫জুলাই ২০২৫ মঙ্গলবার লন্ডন সময় সন্ধ্যা ছয়ঘটিকায় পূর্বলন্ডনের আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনারে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘‘মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার‘‘। প্রতিবাদ জানাতে শহীদমিনারের পাদদেশে সমবেত হন দলমত নির্বিশেষে সর্বস্থরের প্রবাসী বাঙ্গালী নারী পুরুষ। কোন ধরনের লম্বা বক্তব্য ও সভাপতি ছাড়াই আয়োজন করা হয় ব্যতিক্রমী এই প্রতিবাদ সমাবেশের।
প্রতিবাদকারীরা পথনাট্য গণসঙ্গীত ও কবিতার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেন তাদের বক্তব্য । মুক্তিযুদ্ধা –সাংবাদিক-সাংস্কৃতিককর্মি ও কবিদের কবিতায় উঠে আসে তাদের ক্ষোভ ও প্রতিবাদ। প্রতিবাদ সমাবেশের সঞ্চালক ও ‘হৃদয়ে ৭১’-এর আহবায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতান বলেন, “এই প্রতিবাদ এখানেই শেষ নয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। ১৯৭১-এর শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না।”
প্রতিবাদি কবিতা পাঠে অংশ নেন বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার এডভোকট মুজিবুল হক মনি, মুর্শিদ উদ্দিন আহমদ, গোলাম রসুল, সালমা বেগম প্রমুখ । তাঁদের কণ্ঠে উচ্চারিত প্রতিবাদী কবিতাগুলোতে উঠে আসে সেই রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের কথা, যেখানে আজহারুল ইসলাম ও তার মতো যুদ্ধাপরাধীরা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছিল।
পরে মঞ্চস্থ হয় এক প্রতিবাদী পথনাটক, নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন এভোকেট ও কবি মুজিবুল হক মনি। নাটকে অভিনয় করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতান, শেখ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শেখ নুরুল ইসলাম, সামসুদ্দিন আহমদ, ফারুক উদ্দিন, অসীমা দে, সামসুল সুমেল, অনামিকা মিটু, মুর্শিদ উদ্দিন আহমদ প্রমুখ। নাটকের মাধ্যমে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়— যুদ্ধাপরাধীদের কোনোভাবেই মাফ করা যাবে না, তাদের বিচারের আওতায় আনতেই হবে।