সব
মতিয়ার চৌধুরী-লন্ডন,
ড. মোহাম্মদ ইউনূস ইচ্ছাকৃতভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে উল্টে দিয়েছেন, যিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য লজ্জাজনক, কারণ তাঁর নাকের ডগায় যারা বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন এবং যুদ্ধাপরাধীদের রাজনৈতিক দল জামাতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক নেতারা যারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে যুদ্ধাপররাধীদের পক্ষে আইনজীবি ছিলেন তারাই এখন আদালতের প্রসিকিউটর হয়ে উঠেছেন। যারা ভুক্তভোগী এবং যারা ন্যায়বিচার চেয়েছিলেন তারাই এখন উল্টো অপরাধী হয়ে উঠেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য সংস্থাগুলিকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে এবং সকল উদারমনা মানুষের দায়িত্ব হলো প্রমাণ নিয়ে আসা, তাহলেই তাদের চোখ খুলে যাবে।
এমন্তব্য সাউথ এশিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোরামের নির্বাহী পরিচালক বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের অবজারভার মিঃ পাওলো কাসাকার। ১৬ আগষ্ট ২০২৫ বিশ্ববাংলা ফাউন্ডেশন আয়োজিত লন্ডন সময় ১২টা ত্রিশ মিনিটে বাংলাদেশ ওয়ান ইয়ার রিপোর্ট কার্ড ‘‘সংস্কারের নামে ধ্বংশঃ বাংলাদেশ এখন একটি ভঙ্গুর রাষ্ট্র‘‘ শিরোনামে আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে ব্রাসেলস বেলজিয়াম থেকে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন। মিঃ পাওলো কাসাকা আরো বলেন তিনি বাংলাদেশে নিয়মিত একজন ভ্রমণকারী। পুলিশ, নারী, সংখ্যালঘুদের মতো আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির উপর পরিচালিত গণ–সংগঠিত পূর্ব–ধর্ষণমূলক সহিংসতার বৃদ্ধি দেখে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত। এই সহিংসতার ফলে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, সুরক্ষা অর্থ এবং অবিরাম লুটপাটের মতো ভুয়া অভিযোগের শিকার হয়েছেন অনেকে। জনাব শাহরিয়ার কবিরের মতো বিশিষ্ট সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ এবং বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত মানবাধিকার কর্মীর বিরুদ্ধে শত শত ভুয়া মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যায় ভাবে তাঁকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। এমন ভূয়া মামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মি, আইনজীবি সহ দেশটির পাঁচ লক্ষ মানুষ। গ্রামীন ব্যাংক সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন ড. ইউনুসের গ্রামীন ব্যাংক মানুষের কোন উপকারে আসেনি বরং দেশটির হাজার হাজার পরিবারকে নিঃশ্ব করেছে।
প্রিয়জিৎ দেবসরকারে সঞ্চালনায় অনুষ্টিত এই ওয়েবিনারে লন্ডন থেকে যুক্ত হয়ে ইউরোপীয় বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পরিচালক মিঃ ক্রিস্টোফার ব্ল্যাকবার্ন বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল ব্যর্থতা সত্ত্বেও, তিনি বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পথে নিয়ে যাওয়ার এবং বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত মানব সূচকের উন্নতির ক্ষেত্রে সঠিক পথেই ছিলেন। নারী ও শিশুদের ক্ষমতায়ন এবং দেশের সামাজিক কাঠামোর উন্নয়নে তার অর্জন অসাধারণ। দেশটি প্রগতিশীল অগ্রগতি থেকে নিপীড়নের দিকে এগিয়ে গেছে এখন। বিশ্ব সম্প্রদায়কে জেগে উঠতে হবে এবং বাংলাদেশকে ১৯৭১ সালের পূর্ববর্তী সময়ে ফিরে যেতে দেওয়া উচিত নয়।