সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) পরিসংখ্যান, পদার্থবিজ্ঞান ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় আট শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ইলিয়াছ প্রামানিককে আহ্বায়ক ও প্রক্টর ফেরদৌস রহমানকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) দিনগত রাত ১২টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি বৈঠক শেষে এমন সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাফায়েত শুভ, শাহরিয়ার অপু, সজীব, সৌরভ, নাজমুজ সাকিব, রোহান সরকার, জিহাদ ও ১৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম।
সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘জেন-জি ফুটবল টুর্নামেন্ট’-এর সেমিফাইনাল খেলায় মার্কেটিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার অপুর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর জেরে সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চকবাজার এলাকায় মার্কেটিং বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে পরিসংখ্যান বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী।
তাদের বাঁচাতে গিয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইউসুফও হামলার শিকার হন। পরে তিন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। এ সময় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের একটি শ্রেণিকক্ষ ভাঙচুর করা হয়।
ঘটনা সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফেরদৌস রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা ইলিয়াছ প্রামাণিক ও রেজিস্ট্রার হারুন অর রশিদ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরে উপাচার্য শওকাত আলী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে মারধরের সঙ্গে তিন বিভাগের শিক্ষার্থীরা জড়িত থাকলেও শুধু মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেক শিক্ষার্থী।
তারা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্টের সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের কারও প্রতি প্রশাসনের নরম মনোভাব নেই। প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত অভিযোগের ভিত্তিতে আট শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বহিষ্কারের এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ’
উপাচার্য আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত কমিটি বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেবে।