যুদ্ধবিরতি শেষ হতেই আফগানিস্তানে পাকিস্তানের ভয়ঙ্কর হামলা, নিহত ৪০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,

  • প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ণ

অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হতেই আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোলদাক শহরে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এতে অন্তত ৪০ জন নিহত ও আরও ১৭০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

আফগান সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজ জানিয়েছে, সীমান্তঘেঁষা এই শহরে নিহতদের সবাই বেসামরিক নাগরিক, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। স্পিন বোলদাকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা করিমুল্লাহ জুবাইর আগা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

১১ থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টা হামলার পর ১৫ অক্টোবর থেকে ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। ১৭ অক্টোবর স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে সেই বিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান নতুন করে বিমান হামলা চালায়।

হামলার শিকার হাজি বাহরাম নামের এক ব্যক্তি তোলো নিউজকে বলেন, “আমি এমন অবিচার কখনও দেখিনি। যারা নিজেদের মুসলিম বলে দাবি করে, তারা নারী ও শিশুদের ওপর হামলা চালিয়েছে।”

বিমান হামলার পাশাপাশি স্পিন বোলদাকের নোকলি, হাজি হাসান কেলাই, ওয়ার্দাক, কুচিয়ান, শহীদ ও শোরবাক এলাকাগুলোতে পাকিস্তানি স্থলবাহিনী একের পর এক আর্টিলারি গোলা নিক্ষেপ করে। এতে বহু বাড়িঘর ও দোকানপাট ধ্বংস হয়ে যায়, হতাহত হয় আরও অনেকে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক সংঘাতের মূল কারণ পাকিস্তানের তালেবানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। কয়েক বছর আগে নিষিদ্ধ হওয়া এই সংগঠনটি এখন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছে।

২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকে টিটিপি আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, আফগান তালেবান সরকার টিটিপিকে আশ্রয় ও সহায়তা দিচ্ছে—যা কাবুল বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।

গত ৯ অক্টোবর পাকিস্তানের বিমান হামলায় কাবুলে টিটিপির শীর্ষ নেতা নূর ওয়ালি মেহসুদ নিহত হন। এর পরদিন থেকেই দুই দেশের সীমান্তে সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠে। চার দিন যুদ্ধ চলার পর সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও, সেই বিরতি ভেঙেই ফের রক্তপাত ঘটল সীমান্তের স্পিন বোলদাকে।

সূত্র : তোলো নিউজ

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

Developed by: Web Design & IT Company in Bangladesh