সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম

বাংলাদেশের মানুষ সাংঘর্ষিক রাজনীতি দেখতে চায় না, স্থিতিশীলতা দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ট্রেস কনসালট্যান্সি নামে এক সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত প্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা নিয়ে সংলাপে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রতিবাদের অধিকার সবার আছে, তবে অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে হবে। কথায় কথায় আপনি রাস্তায় যাবেন। এখন অন্য দল যদি তার প্রতিবাদে আবার রাস্তায় যায়, তাহলে কী হবে, সংঘর্ষ হবে না? বৃহত্তর দল বাংলাদেশে যদি রাস্তায় নামে এগুলোর প্রতিবাদে, সংঘর্ষ হবে। এ জন্য আমরা কি শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছি?
রাজনৈতিক দলগুলো ‘অবসেসড’ হয়ে গেছে, বলেন আমীর খসরু। কিছু কিছু রাজনীতিবিদের মধ্যে এ ধরনের মনমানসিকতা ডেভেলপ করে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, রজনৈতিক দলগুলোকে বিশ্বাস করতে হবে যে যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তার বাইরে গিয়ে আবার নতুন ইস্যু সৃষ্টি করলে কিন্তু ঐকমত্যের শ্রদ্ধা দেখানো হচ্ছে না। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও ঐকমত্য হতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনার গত ১৭ বছরের শাসনে আমাদের মধ্যে একটা স্বৈরাচারী মনোভাব চলে আসছে। আমরা মনে করি যে আমার দফা, আমার দাবি, আমার চিন্তা না থাকলে এটাকে গ্রহণ করা যাবে না।
যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তা বাস্তবায়িত হবে বলেন আমীর খসরু। যেগুলোয় ঐকমত্য হয়নি, তা জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে বলে মত দেন তিনি। ঐকমত্যের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানান এই নেতা।
গণভোট প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকার সংবিধানের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত হয়েছে। সেই সংবিধানে গণভোটের কিছু নেই। যদি গণভোট করতে হয়, তাহলে বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান অনুসারে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে এসে সংসদে পাস করার পরে সেই বিষয়গুলো গণভোটে যেতে পারে।
এসব করে অনেকে নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায় বলে মন্তব্য করেন আমীর খসরু। চট্টগ্রামে হত্যাকাণ্ডে সন্ত্রাসীদের অন্তর্দ্বন্দ্বকে ব্যবহার করে নির্বাচনকে পিছিয়ে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, সে প্রশ্ন তোলেন তিনি।