সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের ইটখোলা এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফরিদ সরকার (৪১) গোসিংগা ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই গ্রামের জামাল উদ্দিন সরকারের ছেলে এবং জাসাসের গোসিংগা ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাসির আহমদ বলেন, মধ্যরাতে ইটখোলা এলাকা থেকে ফরিদ সরকারের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত জোরদার করা হয়েছে।
নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন সরকার বলেন, প্রায় ২০ বছর প্রবাসে থাকার পর এক বছর আগে দেশে ফেরেন ফরিদ। দেশে ফেরার পর তিনি গোসিংগা ইউনিয়নের কেবিএম (এবিএম) ব্রিকসে মাটি সরবরাহের কাজ করতেন।
তিনি বলেন, “রাতের খাবার শেষে ফরিদ বাড়ি থেকে বের হয়। গভীর রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য সবুজের মাধ্যমে জানতে পারি, ফরিদ নাকি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি সে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।”
জামাল উদ্দিন আরও বলেন, “দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
শ্রীপুর উপজেলা জাসাসের আহ্বায়ক হেলাল প্রধান বলেন, “রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদ স্থানীয় মহাখালী বাজারে কেরাম খেলছিলেন। এ সময় মোবাইল ফোনে তাকে ইটখোলায় যেতে বলা হয়।”
তিনি বলেন, “ভোরের দিকে এলাকাবাসী ফোন করে জানায়, ইটখোলায় ফরিদকে মারধর করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। সকালে নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
ওসি মোহাম্মদ নাসির আহমদ বলেন, “প্রাথমিকভাবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটন এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে তদন্ত কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।