সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে রাজধানীজুড়ে নাশকতার আগে ১৮ জুলাই ঢাকার নেটওয়ার্কে ১ লাখ নতুন সিম যুক্ত হয়। সেদিনই হামলা হয় সেতু ভবন, বিটিভি, মেট্রোরেল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনায়।
আজ শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাকভবনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘শান্তির জন্য বৃক্ষ ট্রি ফর পিস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গেল ১৮ জুলাই বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালানোর জন্য ১ লাখ নতুন সিমকার্ডধারী বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকায় প্রবেশ করে। সেদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চালানো হয় ধ্বংসযজ্ঞ।
তিনি বলেন, বেছে বেছে সরকারি স্থাপনা ও যানবাহনে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ বাহিনী এমনকি সাংবাদিকদের ওপরও হামলা হয়েছে।
ইন্টারনেট ইস্যুতে বিদেশে বসে অপপ্রচার চলছে জানিয়ে পলক বলেন, সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করেনি। সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ব্রডব্যান্ড সেবা সচল রাখা সম্ভব হয়নি। অথচ এ বিষয়টি নিয়ে বিদেশে বসে অপপ্রচার চলছে।
উল্লেখ্য, শুরুটা সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারকে কেন্দ্র করে। প্রথম দিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চললেও, এক পর্যায়ে এতে ঢুকে পড়ে সহিংসতাকারীরা। প্রায় এক সপ্তাহ দেশজুড়ে চলে জ্বালাও-পোড়াও-ভাঙচুর। হতাহত হন অনেকেই।
সংঘাতময় দিনগুলোতে বেছে বেছে হামলা চালানো হয় বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায়। জ্বলেপুড়ে অঙ্গার হয় মহাখালীর সেতু ভবন, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভি, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান। আগুন থেকে বাদ যায়নি মহাখালীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন। গত ১৮ জুলাই নাশকতাকারীদের ওই আগুনে সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেশজুড়ে বন্ধ হয়ে যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা।
পরে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাত থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও বন্ধ রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট। তবে মোবাইলে ফোরজি সেবা চালু করতে রোববার (২৮ জুলাই) অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, কবে থেকে মোবাইল ইন্টারনেট চালু করা হবে। তবে জানা গেছে, বৈঠকের দিন রাতে অথবা সোমবার (২৯ জুলাই) চালু হতে পারে ফোরজি সেবা।