অবশেষে করোনার ওষুধ পেয়েছে WHO!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,

  • প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৭:১৮ অপরাহ্ণ

প্রতিষেধক হাতে আসার আগেই মহামারি করোনা সংকটের মধ্যেই আশার কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অবশেষে করোনায় মৃত্যু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ওষুধের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহারের ফলে নাকি সংকটাপন্ন করোনা রোগীদেরও প্রাণে বাঁচানো যাবে এমনটা দাবি করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

কয়েকটি আন্তর্জাতিক ট্রায়ালের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ৬৮ শতাংশ সঙ্কটজনক করোনা রোগী কর্টিকস্টেরয়েড প্রয়োগের ফলে মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরেছেন। তথ্য বলছে এই ওষুধ প্রয়োগের ফলে প্রতি ১০০০ জন সংকটাপন্ন রোগীর মধ্যে ৮৭ জনের প্রাণ বেঁচে গিয়েছে। সুতরাং সংকটজনক রোগীদের মধ্যে এই ওষুধের প্রয়োগ হতেই পারে।’বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, তিন রকমের কর্টিকোস্টেরয়েড নিয়ে গবেষণা করে দেখা গিয়েছে এগুলো আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি করছে। এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকি পর্যন্ত কমিয়ে দিচ্ছে। ভেন্টিলেটর সাপোর্টে থাকা সংকটজনক করোনা রোগীদের উপর হাইড্রোকর্টিজোন, ডেক্সামেথাজোন এবং মিথাইলপ্রেডনিজোলোনের মতো কর্টিকোস্টেরয়েডের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য সাফল্য এনেছে।

আরও ভালভাবে বলতে গেলে, কর্টিকোস্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের প্রয়োগে করোনায় মৃত্যুর সম্ভাবনা নাকি ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন গাইডলাইনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।

সঙ্কটজনক করোনা রোগীর চিকিৎসায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি স্টেরয়েড ডেক্সামেথাজোনই কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাঁরা জানান, এই স্টেরয়েড প্রয়োগ করে ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের মৃত্যুর হার কমানো গিয়েছে প্রায় ৪১ শতাংশ। এই ওষুধের প্রয়োগে অক্সিজেনের সাহায্য নেওয়া গুরুতর অসুস্থ করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর হার কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ এবং স্থিতিশীল করোনা রোগীদের মৃত্যুর হার প্রায় ১৩ শতাংশ কমেছে।

সম্প্রতি, ব্রিটেনের একদল গবেষক এমনটাই দাবি করেছেন । তাদের দাবি, ডেক্সামেথাজোনই মৃত্যুর হার এক তৃতীয়াংশ কমিয়ে দিয়েছে। তবে এই ওষুধের ভুল প্রয়োগে বিপদ আসতে পারে বলেও জানান গবেষকরা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক সম্প্রতি এই ট্রায়ালটি করেছেন। তাদের সেই ট্রায়ালের মাধ্যমেই অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই নির্দেশিকা করোনা চিকিৎসায় নতুন পথ দেখাতে পারে। কারণ, যে স্টেরয়েডের কথা বলা হচ্ছে, তা অত্যন্ত সস্তায় বাজারে পাওয়া যায়। সুতরাং, এই ওষুধ যদি সত্যিই কার্যকরী হয়, তাহলে হয়তো অনেক কম খরচেই করোনা রোগীর প্রাণ বাঁচানো যাবে।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...