ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপনির্বাচনের ‘নিখোঁজ’ স্বতন্ত্র প্রার্থীর খোঁজ চায় ইসি

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ৬:৩৮ অপরাহ্ণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে ‘নিখোঁজ’ স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমদকে উদ্ধারে নির্বাচন কমিশন কড়াভাবে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্বতন্ত্র এই প্রার্থীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে বলা হয়েছে। তারা চাইলে উদ্ধার করতে পারবেন না এটা বিশ্বাস করি না। তাকে উদ্ধার করেন। আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করেন। ইলেকশনের আগে যেভাবে হোক তাকে খুঁজে বের করেন।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ঘটনাটি কমিশন তদন্ত করতে বলেছে উল্লেখ করে কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, বিষয়টি তদন্ত করতে দেয়া হয়েছে। আগে তদন্ত রিপোর্ট আসুক, তারপরে দেখা যাবে কী হবে। ডিসি, এসপি ও জেলা নির্বাচন অফিসারকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা খবরে দেখতে পেয়েছি তাকে নাকি আটকে রাখা হয়েছে। এর সত্যতা কতটুকু তা জানার জন্য তদন্ত করতে দিয়েছি। কমিশন তো নিজে গিয়ে ধরে আনতে পারবে না। আমাদের কাছে তো সেই ক্ষমতা নেই। কমিশন ব্যবস্থা নেবে বলবে। আমরা ইতোমধ্যে সেটা করে ফেলেছি। কড়াভাবে নির্দেশ দিয়েছি।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার ব্যবহারে নির্বাচন কমিশনের শতভাগ আগ্রহের কথা জানিয়েছেন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা। অবশ্য সিসি ক্যামেরা ব্যবহার হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা বলেন, আমাদের হান্ড্রেড পার্সেন্ট (শতভাগ) ইচ্ছা আছে। কমিশন অবশ্যই সিসি ক্যামেরা চায়। যদিও অর্থনীতি এখানে বড় জিনিস। এ বিষয়ে সরকারে সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

ইভিএম কেনা বা ব্যবহারের জন্য প্রকল্প পাস করার বিষয় থাকলেও সিসি ক্যামেরার জন্য এমন কিছু লাগে না বলে মনে করেন রাশেদা সুলতানা। এই ইসি বলেন, ওই রকম বিষয় নয়, যদি প্রজেক্ট পাস করতে না হয়। নির্বাচনী বাজেটের ব্যাপার। সিসি ক্যামেরা বাদ দিয়েছি এমনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা আনবোই আনবো, এমন সিদ্ধান্তও হয়নি।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন হতে আর বছরখানেক আছে উল্লেখ করে রাশেদা সুলতানা বলেন, এই এক বছরের মধ্যে দেশের অর্থনীতির পরিস্থিতি কোনদিকে যায় সেটাও আমরা বুঝতে পারবো। সব মিলিয়ে এটা সিদ্ধান্তের প্রশ্ন। ভোটে সিসি ক্যামেরা হলে ভালো হয়। আমাদের জন্য ভালো হয়। আপনাদের জন্য ভালো হয়। ভোটারদের জন্য ভালো হয়। সব মিলিয়ে ভালো হয়। আমরা তো চাইবো ভালোটার দিকে, খারাপের দিকে যেতে চাইবো না। কমিশন চাইলে নিজে নিজে তো করতে পারবে না। সবকিছু মিলিয়ে পরিবেশ পরিস্থিতি যদি পারমিট করে আমরা অবশ্যই করবো। যদি না হয়, তাহলে সেটা তো সময় বলবে।

ইসি রাশেদা বলেন, সিসি ক্যামেরা দিয়ে ভোট করবো কি করবো না এ বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত হয়নি। আইনে কোথাও বলা নেই, সিসি ক্যামেরা করতেই হবে। আমরা পরীক্ষামূলকভাবে (ব্যবহার) করেছি। সিসি ক্যামেরার একটা ইফেক্টিভ রেজাল্ট (কার্যকর ফল) আছে। ব্যবহার করতে চাইলে একটা বড় বাজেট লাগবে। তিন শ আসন একটা ম্যানেজমেন্ট বা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে। সেটা কীভাবে করা যায়, আদৌ সম্ভব কি না, করলে কতটুকু করা যায়, এ বিষয় নিয়ে আমরা এক ধরনের আলোচনা করে আসছি।

আগামী বুধবার অনুষ্ঠেয় ৬ আসনের উপনির্বাচন প্রসঙ্গে রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা প্রার্থীরা তাদের মতো করে গেছেন। ভোটের সব প্রস্তুতি শেষ। ক্যামেরা নেই এবার, আপনারা জানেন। ব্যালটে নয়, ইভিএমে ভোট হবে, মেশিন প্রস্তুত। মেশিন যা দরকার তার চেয়ে দেড়গুণ বেশি দেয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যতটুকু সম্ভব রক্ষা করার জন্য নির্দেশনা দেয়া আছে। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...