সব
দাগনভূঞা প্রতিনিধি,
ফেনী দাগনভূঞার চুন্দারপুর গ্রামে মৎসখামার প্রহরীর হাতে এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত ব্যক্তির নাম সাদ্দাম হোসেন(৩৪)। সে উপজেলার ১ নং সিন্দুরপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের জাফর হোসেনের পুত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সাদ্দাম সহ ৫/৬ জনের একদল লোক গভীর রাতে ‘আহমেদ মৎস খামার’এ ঢুকে পড়ার চেষ্টা করলে খামারের প্রহরী জনি মিয়া দেখতে পেয়ে বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। ঘটনার একপর্যায়ে জনি মিয়া তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সাদ্দাম মাথায় মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হয়ে লুটিয়ে পড়ে। চিৎকার চেঁচামিচি শুনে স্থানীয় লোকজন জড়ো হলে অন্যরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন সাদ্দামকে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আজ শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ মর্গে প্রেরণের কথা নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
এদিকে এই ঘটনায় আজ দুপুরে নিহতের স্ত্রী সরলা বেগম বাদী হয়ে খামারের সত্ত্বাধিকারী মোহাম্মাদ শওকত হোসেন(২৫) কে প্রধান এবং জনি মিয়া(২৬) কে দ্বিতীয় আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
দাগনভূইঞা থানার অফিসার ইনচার্জ আকবর হোসেন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইতিমধ্যে আমরা জনিকে অজ্ঞাত স্থান থেকে গ্রেফতার করেছি। অন্য আসামীকেও অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মামলার বাদী সরলা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পরিকল্পিতভাবে তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামী ‘আহমেদ মৎস খামারের সত্বাধীকারী মোহাম্মাদ শওকত হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03