সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
সুশান্ত ইস্যুতে গ্রেপ্তার হয়েছে তার প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী। বাঙালি এই মেয়ে রাজনীতির শিকার হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে কলকাতায় মিছিল বের করলো কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরির নির্দেশে ধর্মতলায় কংগ্রেসের তরফে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। নেতৃত্বে ছিলেন বিধানসভায় কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক ও প্রদেশের সাধারণ সম্পাদক মনোজ চক্রবর্তী এবং অন্যান্য রাজ্য নেতৃত্ব ও পারিপার্শ্বিক জেলা নেতৃত্ব। শনিবার বিকেলে বিধান ভবন থেকে এই মিছিল বের হয়।
সুশান্ত মামলায় রিয়া চক্রবর্তী এখন নেটজনতার একাংশের কাছে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড লেডি!’। সিবিআই, ইডি, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জেরায় বিপর্যস্ত অভিনেত্রীর জীবন। মাদক চক্র যোগে বর্তমানে বাইকুলা জেলে ঠাঁই হয়েছে তাঁর। আদালতে জামিনের আবেদন করেও মেলেনি রেহাই। খারিজ হয়ে গিয়েছে আবেদন।
উপরন্তু সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির বিতর্কের জল গড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলের চৌকাঠে। সুশান্ত ইস্যুকে হাতিয়ার করেই বিহারে ভোট বৈতরণী পার করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। কার্যত একপেশেভাবে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে। কিন্তু আদৌ তা কতটা যুক্তিযুক্ত? ইতিমধ্যেই সেই প্রশ্ন তুলে দ্বিবিভক্ত নেটদুনিয়া। এসবের মধ্যেই বঙ্গতনয়ার সমর্থনে সুর চড়াল কংগ্রেস।
সুশান্ত মামলায় রিয়া চক্রবর্তীর গ্রেপ্তারির পরই অবশ্য এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি। অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “রিয়া চক্রবর্তীও বাঙালি ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে। তার বাবা সেনার অঙ্গ হিসেবে দেশের সেবা করেছেন। সুশান্ত সিং রাজপুতকে সুবিচার দেওয়া যেন একজন বিহারীকে বিচার পাইয়ে দেওয়ার রূপ না নেয়।”
পাশাপাশি অধীর এও বলেছিলেন, “সুশান্ত সিং রাজপুত একজন খ্যাতনামা অভিনেতা ছিলেন। দেশের অনেক মানুষের ভালবাসা পেয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিজেপি তাকে শুধুমাত্র বিহারের অভিনেতা হিসেবে প্রতিপন্ন করেছে। রিয়া চক্রবর্তীকে কিন্তু সুশান্তের মৃত্যুতে প্ররোচনা দেওয়ার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাকে মাদক যোগের অভিযোগে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) এনডিপিএস আইনের ভিত্তিতে হেফাজতে নিয়েছে।”
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03