সব
মোহাম্মদ আলী বোখারী,
করোনা পরিস্থিতিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে কানাডার টরন্টোয় সরাসরি যাত্রী পারাপারের এক উচ্চাকাঙ্খী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত জুনের শুরুতে সে কথা জানিয়েছেন বিমানের মহাব্যবস্থাপক মোকাব্বির হোসেন। তাতে ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে কানাডার ‘এয়ার কানাডা’ চুক্তিমাফিক উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন গন্তব্যে বিমানের যাত্রী পরিবহন করবে। কিন্তু সেটা কী একটি লাভবান সিদ্ধান্ত? কেননা ওই চুক্তিমাফিক সপ্তাহে তিন দিন শুধুমাত্র ‘ঢাকা-টরন্টো-ঢাকা’ দূরত্বই নয়, বরং ১৫-১৬ ঘন্টা যাত্রার পর থাকছে অতিরিক্ত খরচে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ও অপরাপর গন্তব্য। তবে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্যের মানচেষ্টার হয়ে সরাসরি নিউইয়র্ক গন্তব্যে বিমানের ‘ফিফ্থ ফ্রিডম রুট’ খুলবে, সে কথা জানুয়ারিতেই জানিয়েছে।
অথচ ১৯৯৬ সালে যৎসামান্য লাভে বিমানের ‘ঢাকা-ব্রাসেলস-নিউইয়র্ক-ঢাকা’ পারাপার বন্ধ হয়। কারণ, ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন (এফএএ)-এর বিধি মোতাবেক ক্যাটাগরি ১ থেকে ২-এ বিমানের পদস্খলন। এখনও তা বলবৎ থাকলেও ব্যতিক্রম বিমানে যুক্ত হয়েছে ৬টি নতুন বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২.১ বিলিয়ন ডলারের ক্রয়চুক্তির ভিত্তিতে তা সরবরাহকৃত। সেজন্য নতুন গন্তব্য অপেক্ষমান, যেমন- টোকিও, গোয়াংজু, কলম্বো, মালে, নয়াদিল্লি, হংকং, মানচেষ্টার, রোম ও সিডনি।
প্রশ্ন হচ্ছে, টরন্টোয় কে হবে বিমানের ‘জিএসএ’ বা জেনারেল সেলস এজেন্ট? এক্ষেত্রে বাংলাদেশি মালিকানাধীন কয়েকটি ট্রেভেল এজেন্ট আবেদনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এতে অধিকতর বিবেচ্য বিষয়টি হচ্ছে, কে সেবামানে যাত্রী ও কার্গো ব্যবস্থাপনায় বিমানকে লাভের মুখ দেখাবে। পাশাপাশি তুমুল প্রতিযোগিতায় বিমান তার সেবামানটি ধরে রাখবে। কেননা অনলাইন ‘অ্যারোনটিক্স’-এর ভাষ্য মতে, বিমানের ‘এই রুটে সেফটি স্ট্যান্ডিং বা নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়াটা অত্যাবশ্যক’।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03