সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজকুমার কালোওয়ার রাজুর ওপর হামলার অভিযোগে প্রতিবাদী মানবন্ধন করেছেন উপজেলার ২২টি চা বাগানের শ্রমিকরা।
রবিবার (৫ মে) বিকেলের দিকে উপজেলা ভবন প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন চা-শ্রমিকরা। পরে হামলা জড়িত থাকার অভিযোগে অপর ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মইনুল ইসলাম সবুজকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আনারস প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রেনু এবং সাধারণ সম্পাদক ও কাপ-পিরিচ প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আ স ম কামরুল ইসলাম।
নির্বাচনে চা শ্রমিক প্রতিনিধি রাজু কালোয়ার চশমা প্রতীকে এবং উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম সবুজ টিউবওয়েল প্রতীকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছে। এই দুজন ছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৫ প্রার্থী। শনিবার (৪ মে) রাতে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়ন বাজারে রাজু কালোয়ারের গাড়ি আটকে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থা তৈরি হয়। দুই দিন আগে উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার এলাকায় সবুজ ও রাজুর কর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। তাৎক্ষণিক পুলিশের উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা হয়।
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজ কুমার কালোয়ার অভিযোগ করে বলেন, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়ন বাজারে তার গাড়ি আটক করে তার ওপর হামলা করা হয়। ওই হামলায় নেতৃত্ব দেন আরেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মইনুল ইসলাম সবুজ ও তার সমর্থকেরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের লাইভে এসেও এসব অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে রাজুর লাইভ বক্তব্য দেওয়ার ঘণ্টা খানিক পর কুলাউড়া-রবিরবাজার সড়কের পীরের বাজার এলাকায় মইনুল ইসলাম সবুজের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে এসে অভিযোগ করেন।
পরে সবুজের সমর্থকেরা অভিযোগ করেন, রাজু কালোয়ারের লোকজন সবুজের গাড়ি আটকে তার ওপর হামাল চালিয়ে আহত করেছে। এতে সবুক অজ্ঞান হয়ে পড়লে অ্যাম্বুলেন্সে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
কুলাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা এসব ঘটনা শুনেছি। কিন্তু এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Developed by:
Helpline : +88 01712 88 65 03