দুই ছেলে নিয়ে চবিতে কর্মচারী পেটালেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকের আহমেদ

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২০, ১২:৩৪ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জমিজমার বিরোধের জের ধরে চাকসুর ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকের আহমেদ ও তার দুই পুত্রের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান গবেষণা ইনস্টিটিউটের অফিস সহকারী আলমগীরকে বেধড়ক মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে— এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহী কলোনী মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী আলমগীর এ ঘটনায় হাটহাজারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

শুক্রবার (২ অক্টোবর) বিকেলে মারধরের শিকার আলমগীর বাদী হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় অভিযোগটি দায়ের করেছেন। এতে চবির কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকের আহমেদ ছাড়াও তার দুই পুত্র মোজাহিদ চৌধুরী ও মোস্তাফিজকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে আলমগীর উল্লেখ করেন, ‘গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে অফিস শেষে বাসায় যাওয়ার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহী কলোনী মসজিদের পাশে সাঈদের দোকানের সামনে বিবাদীসহ অজ্ঞাতনামা ১০ জন লোক আমাকে একা পেয়ে অতর্কিতে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এ সময় জাকের আহমেদ আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তারা আমার প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ ৩৫ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নিয়ে যায়।’

ভুক্তভোগী কর্মচারী মো. আলমগীর এ বিষয়ে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘২০০৫ সাল থেকেই তাদের সাথে আমাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাব খাটিয়ে তারা আমাদেরকে হুমকি দিয়ে আসছে। এর জেরে আমার ছোটভাই বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমাদের জমির উপর বাড়ি নির্মাণের চেষ্টা চালায়। আমরা এতে বাধা দিলে আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছিল। গত ২ সেপ্টেম্বর একই বিষয়ে আমার ছোট ভাইকেও মেরে রক্তাক্ত করে তারা।’

এ দিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত জাকের আহমেদকে মুঠোফোনে কয়েকবার কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে হাটহাজারী থানার ডিউটি অফিসার এসআই রাজিব বলেন, ‘এক ব্যক্তি এ অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের কপি ওসি তদন্ত স্যারের টেবিলে আছে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে চাকসুর ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকের আহমেদকে গ্রেফতার করে হাটহাজারী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে জাকের আহমদকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

চাকসুর বর্তমান দায়িত্বের আগে জাকের আহমদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-সম্পত্তি শাখার উপ-নিবন্ধক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এই সময়টাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি নিজের নামে নিবন্ধন করা, অর্থের বিনিময়ে অন্যদের দখলে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ ছিল জাকের আহমেদের বিরুদ্ধে।

গ্রেফতারের দিনও বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গায় নিজের জমি আছে দাবি করে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন জাকের আহমেদ।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...