কোহলির ছুটির কথা শুনেই ক্ষেপে গেলেন কপিল দেব

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২০, ৯:২৮ অপরাহ্ণ

বাবা হতে যাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটের পোস্টারবয়, অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং বলিউড কুইন আনুশকা শর্মা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের টেস্ট সিরিজ চলাকালীনই বাবা হবেন কোহলি দম্পতি। যে কারণে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে ছুটি নিয়েছেন কোহলি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজের শেষ তিনটি ম্যাচ খেলতে পারবেন না তিনি।

কোহলির এই সিদ্ধান্ত এরই মধ্যে তুমুল সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে। তবে এবার চুপ থাকতে পারলেন না ভারতকে প্রথম বিশ্বকাপের স্বাদ পাইয়ে দেয়া অধিনায়ক কপিল দেব। কোহলির ছুটির কথা শুনেই ক্ষেপে গেলেন কপিল। তিনি জানিয়ে দিলেন, তাদের সময়ে এমনটা ভাবারও সুযোগ ছিল না।

কথা রয়েছে, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের শুরুতেই, তথা জানুয়ারি মাসে প্রথমবার বাবা হবেন কোহলি। সে কারণেই অস্ট্রেলিয়া সফরের মাঝে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত ভারত অধিনায়কের। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছে আগেই অনুরোধ জানিয়ে রেখেছিলেন। যে কারণে ছুটিও মেলে দ্রুত।

বিসিসিআইর পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়, অসিদের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলেই ফিরে আসবেন অধিনায়ক কোহলি। অনেকে তার এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করলেও নেটিজেনদের বড় অংশ সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে। তুলনা করা হয় মহেন্দ্র সিং ধোনিকেও। অনেকেই কটাক্ষের সুরে বলেন, জিভার জন্মের সময় কিন্তু ধোনি দেশের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে বাড়ি ফিরে যাননি।

এ কারণেই মূলত কোহলির পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে মুখ খুললেন কপিল দেব। প্রথমেই এমন সুখবরের জন্য কোহলিকে অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। এরপরই তার বক্তব্য, ‘আমাদের সময়ে এমনটা সম্ভব হতো বলে মনে হয় না। একবার নিয়ে আবার ফেরত আসতাম, নিশ্চিতভাবে এমন সুযোগ পাওয়া যেত না। সুনিল গাভাস্কার যেমন কয়েক মাস ছেলের মুখই দেখতে পাননি। তখন পরিস্থিতি অন্যরকম ছিল। সময় বদলে যায়। কোহলির উদাহরণ দিয়েই বলি। বাবা হারানোর পরদিনই তো মাঠে নেমেছিল। এবার সে সন্তান আসার দায়িত্ব পালনে ছুটি নিচ্ছে। সম্ভব হলে নিতেই পারে।’

এরপরই যুক্ত করলেন, ‘এখন ইচ্ছে হলে কোনও খেলোয়াড় নিজে বিমান কিনেও যাতায়াত করতে পারে। ভাবলে ভালোই লাগে যে ক্রীড়াবিদরা এখন এতটা উচ্চতায় পৌঁছে গেছে।’বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক একই সঙ্গে বুঝিয়ে দেন, কোহলি ছুটি নেয়ায় ক্রিকেটের প্রতি যে তার ভালোবাসা কমে গেছে, এমনটা ভাবারও কোনো কারণ নেই।

উল্লেখ্য, ২০০৬-০৭ সালে দলের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে থাকায় নিজের প্রথম সন্তানের জন্মের সময় তার মুখ দেখতে পাননি ভিভিএস লক্ষ্মণ। যদিও তিনি কোহলির পিতৃত্বকালীন ছুটি নেয়াকে সমর্থনই জানিয়েছেন। আবার গাভাস্কার বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ায় কোহলির না থাকাটা একদিক থেকে টিম ইন্ডিয়ার জন্য ভালোই হবে। কারণ তার অনুপস্থিতিতে দলগতভাবে ভালো খেলার চেষ্টা করবে দল।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...