সব
বিনোদন ডেস্ক,
২৭ নভেম্বর বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছে জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার। স্বামী হারুন রশীদ অপুর সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে শবনম ফারিয়া নিজের অনুভূতিও ব্যক্ত করেছেন।
শবনম ফারিয়া দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি দুজন দুজনকে আটকে থাকার। কিন্তু পারিনি। তবে বিয়ে বিচ্ছেদ হলেও আমাদের বন্ধুত্ব ঠিকই থাকবে।’
নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে ফারিয়া বলেন, ‘মানুষের জীবন নদীর মতো। কখনও জোয়ার, কখনও ভাটা। কখনও বৃষ্টিতে পানি বেড়ে যায়, শীতকালে পানি শুকিয়ে যায়। আমাদের জীবনেও এমনটা হয়! আমাদের জীবনে কিছু মানুষ আসে; কেউ কেউ স্থায়ী হয়, কেউ কেউ কিছু কারণে স্থায়িত্ব ধরে রাখতে পারে না!’
বিয়ে বিচ্ছেদের কারণ জানাতে গিয়ে ফারিয়া বলেন, ‘আমার মা সব সময় একটা কথা বলে, আল্লাহর হুকুম ছাড়া একটা গাছের পাতাও নড়ে না, আমরা শুধু চেষ্টা করতে পারি! ঠিক সেভাবেই আমি আর অপু অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করেছি এক সাথে থাকতে! কিন্তু বিষয়টা একটা পর্যায়ে খুব কঠিন হয়ে যায়! মানুষ কি বলবে- ভেবে নিজেদের উপর একটু বেশিই টর্চার করে ফেলছিলাম আমরা! জীবনটা অনেক ছোট, এতো কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকার কি দরকার? এইটা ভেবে আমরা এ বছরের শুরু থেকেই সিদ্ধান্তে আসি আমরা আর এক সাথে থেকে কষ্টে থাকতে চাই না! তাও বছর খানেক সময় নিয়েছি পরস্পরকে বুঝতে! ফাইনালি আল্লাহ্ যা করেন ভালোর জন্যেই করেন- ভেবে আমরা আমাদের প্রায় আড়াই বছরের বৈবাহিক জীবনের অবসান ঘটিয়ে আবারও ৫ বছরের পুরোনো বন্ধুত্বে ফিরে গিয়েছি।’
বিচ্ছেদ হলেও সাবেক স্বামীর সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় থাকবে জানিয়ে ফারিয়া বলেন, ‘বিবাহে বিচ্ছেদ হয়, কিন্তু ভালোবাসার বিচ্ছেদ নেই! বন্ধুত্বের বিচ্ছেদ নেই! যতদিন বেঁচে আছি আমাদের ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব থাকবে! শুধুমাত্র বৈবাহিক বন্ধন থেকে আমাদের সম্পর্কের ইতি টেনে নিলাম! এ ঘটনা আমাদের জীবনের গতি হয়তো রোধ করবে, ছন্দপতন করবে কিন্তু জীবন তো থেমে থাকবে না! অপুর জন্যে আমার অনেক অনেক দোয়া, ভালোবাসা আর শুভ কামনা। আমরা যে সুখের জন্যে আলাদা হলাম আমরা যেন সে সুখ খুঁজে পাই। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
২০১৫ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে অপুর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল ফারিয়ার। দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ২০১৮ সালে পরিণয়ের দিকে গড়ায়। সে বছরের শেষ দিকে দুজনে আংটি বদল করেন। আর ২০১৯ সালের ১ লা ফেব্রুয়ারি জমকালো অনুষ্ঠানের ভেতর দিয়ে দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03