মানবতার কল্যাণে রেডক্রস সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জাতির পিতা

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৩ আগস্ট ২০২২, ৭:৫৬ অপরাহ্ণ

মানবতার কল্যাণে সেবার জন্য জাতির পিতা রেডক্রস সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার গণভবনে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির নবনির্বাচিত বোর্ড সদস্যরা সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে এ নির্দেশনা দেন তিনি।

এসময় হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের পুরোনো মর্যাদা ফিরিয়ে আনাসহ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিকে আধুনিকীকরণে পরিকল্পনা প্রণয়নে এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষাতে বোর্ড সদস্যরা বন্যা, করোনা, রোহিঙ্গাসহ দুর্যোগের সময়ে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির তৎপরতা সম্পর্কে অবহিত করেন।

তারা বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি প্রতিষ্ঠার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট ইতিহাসের জঘন্যতম ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শাহাদতবরণকারী সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্যোগের সময়ে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে মানবতার সেবায় সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান।

তিনি উল্লেখ করেন, দেশব্যাপী রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যক্রম বিস্তারে বরাবরের মতো তার সরকার ও তার ব্যক্তিগত সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। সেই সঙ্গে আগামী ৪ বছরের জন্য আন্তর্জাতিক রেডক্রস সংস্থা আইএফআরসির সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আব্দুল ওয়াহাবকে অভিনন্দন জানান।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় ১৫ আগস্টের দুঃসহ স্মৃতিচারণ করে বিস্ময় প্রকাশ করেন, যে জাতির জন্য বঙ্গবন্ধু সারাটি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, সেই বাঙালি হয়ে কীভাবে ঘাতকরা জাতির পিতার বুকে গুলি চালিয়েছিল!

তিনি বলেন, ঘাতকরা একসময় আমাদের বাসায় নিয়মিত আসা যাওয়া করত। আজও তারা তৎপর, আমাকে ও আওয়ামী লীগকে সরিয়ে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে এদেশের মানুষের কল্যাণ হয় না।

আবেগজড়িত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা রেডক্রস সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মানবতার কল্যাণে সেবা করার জন্য, ৭৫-এ জাতির পিতাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করার পর সেই রেডক্রসেরই এক টুকরো কাপড়কে কাফন বানিয়ে তাকে দাফন করা হয়েছিল।

গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আব্দুল ওয়াহাবের নেতৃত্বে ভাইস চেয়ারম্যান নূরুর রহমান, ট্রেজারার এম এ সালাম, মহাসচিব কাজী সফিকুল আজম, আরমা দত্ত, এম মঞ্জুরুল ইসলামসহ অন্যান্য বোর্ড সদস্যরা।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...