পা দিয়ে গলা চেপে মৃত্যু নিশ্চিত করেন নোবেল’

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ৬:০৯ অপরাহ্ণ

চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি সকালে রাজধানী ঢাকার অন্তর্গত কেরাণীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকা থেকে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল এবং তার বন্ধু এস এম ফরহাদকে গ্রেপ্তার পরে পুলিশ। পরে তাদের আসামি করে মামলা করা হয়।

এ ঘটনায় অভিনেত্রীর স্বামী নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে।

অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, শিমুকে হত্যা করার জন্য বন্ধু ফরহাদকে নির্দেশ দেন নোবেল। তারপর ফরহাদ শিমুকে ধরতে গেলে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন অভিনেত্রী। পরে নোবেল গলা ধরতে যায় শিমুর। তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে নোবেল ও ফরহাদ একসঙ্গে শিমুর ওপর চড়াও হন। তখন ফরহাদ শিমুর গলা চেপে ধরেন এবং নোবেল দুই হাত ধরেন। এ সময় শিমু ফ্লোরে পড়ে যান। স্বামী নোবেল স্ত্রী শিমুকে হত্যার জন্য তার (শিমু) গলায় পা দিয়ে দাঁড়ান। একপর্যায় প্রস্রাব হয় এবং ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যান বলেও জানা যায়।

শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের পর প্রথমে তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। পরে নিহতের আঙুলের ছাপ নিয়ে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়। পরের দিন রাত ৪টায় রাজধানীর কলাবাগানের ৩৪ গ্রীন রোড থেকে শিমুর স্বামী নোবেল এবং তার বন্ধু ফরহাদকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি গাড়ি জব্দ করা হয়।

অভিনেত্রী শিমু ও নোবেলের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে মেয়ের বয়স ১৫ বছর এবং ছেলের বয়স ৭ বছর। এ ঘটনায় শিমুর বড় ভাই হারুন অর রশিদ অভিনেত্রীর স্বামী নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পরে বস্তার সুতার সূত্র ধরে খুনের রহস্য উদঘাটন করা হয়।

অভিনেত্রীর ছোট বোন ফাতেমা নিশা জানান, শিমুকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন নোবেল। তাদের দাম্পত্য জীবনে তেমন কোনো কলহ ছিল না। ১৯৯৮ সালে সিনেমায় পথ চলা শুরু হয় শিমুর। কাজী হায়াতের ‘বর্তমান’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে যাত্রা শুরু তার। ক্যারিয়ারে প্রায় ২৫টি সিনেমা ও অর্ধশতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...