সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
রাজধানীর বাড্ডায় ৫বছর আগে সাড়ে ৩ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম বুধবার আসামি শিপনের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে ৩২ বছর বয়সী শিপনকে সর্বোচ্চ সাজার পাশাপাশি আরেকটি ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ।
রায় শুনে দণ্ডিত শিপনকে নির্বিকার দেখা যায়। পিপি ফারহানা আফরোজা আহমেদ অরেঞ্জ জানান, এ সময় তার কোনো আত্মীয়স্বজনকে এজলাসে দেখা য়ায়নি।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, শিশুরা যদি তাদের আশপাশের প্রতিবেশীদের কাছে নিরাপদ না থাকে, তা সমাজের জন্য অশনি সংকেত। আসামি একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে নিজের পাশবিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে ভিক্টিমের জীবনে কালিমা লেপন করেছে এবং তার জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দিয়েছে। উক্ত কাজের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি প্রাপ্য।
ভোলার লালমোহন থানার ভাঙ্গাপুল এলাকার শামসুল হকের ছেলে শিপন পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক। বাড্ডার আদর্শনগর এলাকায় এক বাসায় তিনি ভাড়া থাকতেন।
২০১৭ সালের ৩১ জুলাই ওই বাসার টয়লেট থেকে ১ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পাশেই আরেক বাসায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতো শিশুটি। মেয়েটির বাবা পেশায় একজন গাড়ি চালক। পরদিন বাড্ডা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তিনি, সেখনে শিপনকেই একমাত্র আসামি করা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ৩০ জুলাই দুপুরে শিপন বাসায় ফিরে বাসার সামনে শিশুটিকে দেখেন। তাকে ডেকে ভাত খাওয়ান এবং খাওয়া শেষে ধর্ষণ করেন। শিশুটি চিৎকার করলে তার মুখ ও গলা চেপে ধরেন। তাতে সে নিস্তেজ হয়ে পড়লে বাথরুমে ফেলে রেখে চলে যান।
গোয়েন্দা পুলিশের এসআই রাশেদুল আলম ২০১৯ সালের ২৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। রাষ্ট্রপক্ষের ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার শিপনকে দোষী সাব্যস্ত করে বিচারক রায় দেন।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03