চার শিক্ষককে ফেরত দিতে হবে অর্ধকোটি টাকা

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২৩, ১:২৫ অপরাহ্ণ

যশোরের চৌগাছায় চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু ওই চার শিক্ষকই নন, সারা দেশে প্রায় ৬৭৮ শিক্ষক জাল সনদে বছরের পর বছর চাকরি করে আসছেন।

সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ দেশব্যাপী এক জরিপ করলে এ সত্যতা প্রকাশ পায়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৮ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সহকারী সচিব সেলিম শিকদার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন প্রকাশ পেলে চৌগাছায় শুরু হয় তোলপাড়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ আছে, এ পর্যন্ত যে শিক্ষক যত বেতন তুলেছেন তা ফেরত দিতে হবে। তাতে চৌগাছার এমপিওভুক্ত চার শিক্ষককে ৪৩ লাখ ৮৬ হাজার ৮২২ টাকা ফেরত দিতে হবে।

চৌগাছায় জাল সনদে চাকরি করা শিক্ষকদের মধ্যে একটি বিদ্যালয়ে আছেন তিনজন শিক্ষক। তারা হলেন- উপজেলার গরীবপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাজমা খাতুন (সহকারী শিক্ষক সমাজ) ও রোজিনা খাতুন। অপর দুজন শিক্ষক হলেন, উপজেলার পলুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শফিকুল ইসলাম এবং চাঁদপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তানিয়া আক্তার।

চাঁদপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের খবর আমরা শুনেছি। তবে এখনো কোনো চিঠি পাইনি। বিষয়টি জানার পর আমি শিক্ষক তানিয়া আক্তারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জাল সনদে চাকরি করার প্রশ্নই ওঠে না বলে জানিয়েছেন। তানিয়া আক্তার ২০১১ সাল থেকে এ বিদ্যালয়ে চাকরি করছেন।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম রফিকুজ্জামান বলেন, আমি অফিসের কাজে জেলা শহরে আছি। এ ধরনের কোনো চিঠি পাইনি।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজুল হোসেন প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সারা দেশে প্রায় ৭০০ শিক্ষককে চিহ্নিত করা হয়েছে। যশোরে যারা এ তালিকায় আছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমাণিত হলে সমুদয় বেতন সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে।

তবে জাল সনদের বিষয়টি নিয়ে কোনো শিক্ষক যদি চ্যালেঞ্জ করেন তাহলে সেটি অধিকতর যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে বলে তিনি জানান।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...