চা শিল্পের জন্য দিবসটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ —শ্রীমঙ্গলে বানিজ্যমন্ত্রী

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৩ জুন ২০২৩, ৮:৫৫ অপরাহ্ণ


জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪ জুন ১৯৫৭ সাল থেকে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চা শিল্পে জাতির পিতার অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তার যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে গত ২০ জুলাই ২০২০ সালে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৪ জুনকে “জাতীয় চা দিব’’ ঘোষণা করা হয়। এ বছর আমরা তৃতীয় বারের মত যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করতে যাচ্ছি।

শনিবার বিকেলে শ্রীমঙ্গলস্থ চা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত টি রিসোর্ট এন্ড মিউজিয়ামের কনফারেন্স রুমে প্রেসকনফারেন্সের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি আরো জানান, ‘‘চা দিবসের সংকল্প, শ্রমিকবান্ধব চা শিল্প’’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ চা বোর্ড এর উদ্যোগে আগামীকাল ৪ জুন বর্ণাঢ্য আয়োজনে তৃতীয়বারের মতো জাতীয় চা দিবস উদযাপন এবং প্রথমবারের মত জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩ প্রদান করা হবে। দেশের চা শিল্পের জন্য দিবসটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

এ বছর চা শিল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন চা শ্রমিকদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চায়ের রাজধানী বলে পরিচিত শ্রীমঙ্গলে বিটিআরআই হাইস্কুল মাঠে জাতীয় চা দিবসের মূল অনুষ্ঠান আযয়োজন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি

এ সময় মন্ত্রী বলেন, দেশের চা শিল্পে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন চা কোম্পানি ও ব্যক্তিকে জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩ প্রদান করা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে এ বছর প্রথমবারের মত ‘জাতীয় চা পুরস্কার প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান।

প্রেস কনফারেন্স সুত্রে জানাযায়, ১ম জাতীয় চা পুরষ্কার-২০২৩ এ পুরষ্কারের জন্য নির্বাচিত (৮টি ক্যাগিরি ) হলেন, একরপ্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল ভাড়াউড়া চা বাগান, সর্বোচ্চ গুনগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান হবগঞ্জের বাহুবাল উপজেলার মধুপুর চা বাগান, শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক আবুল খায়ের কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড, শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার মো: আনোয়ার সাদাত সম্রাট, শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার জেরিন চা বাগান, বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান/কোম্পানী পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়ার কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট লিমিটেড, দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান/কোম্পানী ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গি ও শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী চট্টগ্রাম জেলার ফটিরছড়ি উপজেলার নেপচুন চা বাগানের উপলক্ষী ত্রিপুরা।

তিনি আরো বলেন, দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় পানীয় চা। সিলেটের মালনিছড়ায় চা বাগানে ১৮৫৪ সালে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু হয়। ধীরে ধীরে এ অঞ্চলের অন্যতম সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে চা শিল্প বিকশিত হতে থাকে। ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে ব্রিটিশ শাসনাধীন উপমহাদেশের এ অঞ্চলে চা শিল্পের অগ্রগতি মূলত ব্রিটিশদের মাধ্যমেই হয়েছে।

প্রেস কনফারেন্সে বানিজ্য মন্ত্রী, সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে চা শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম এনডিসি পিএসসি, পিডিইউ পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হক, চা বোর্ডের সদস্য অর্থ ও বাণিজ্য মোহাম্মদ নুরুল্লা নুরী ও সদস্য কামরুল আমিন প্রমুখ।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...